১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:৫৮
শিরোনাম:

আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে না: ড. মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নজিরবিহীন দুর্নীতি, টাকা পাচার, লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা কখনো জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে না। আওয়ামী লীগ ফন্দি-ফিকির করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। দেশ বাঁচাতে এই গণবিরোধী সরকারকে বিদায়ের কোনো বিকল্প নেই।’

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ও হোমনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত এ কে এম ফজলুল হক মোল্লার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ঢাকাস্থ হোমনা জাতীয়তাবাদী ফোরাম এই দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিকে বাইরে রেখে আবারও ভোট ডাকাতির নির্বাচন করার জন্য সরকার নানা ষড়যন্ত্র ছলচাতুরি করছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নতুন ইসির অধীনে। বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে, তবে এই সরকারের অধীনে নয়। কারণ এই সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি, সিন্ডিকেট ও অব্যবস্থাপনার কারণে দ্রব্যমূল্য আকাশছোঁয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ দিশেহারা। দুই দিন পরেই পবিত্র রমজান। অগ্নিমূল্যে মাছ, গরুর মাংস, মুরগি, ডিম, তরি-তরকারি কেনার সামর্থ্য মানুষের নেই। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো কী খেয়ে রোজা রাখবে, ভেবে অস্থির। দ্রব্যমূল্য হ্রাস করতে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই। জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি বলে সরকারের কোনো দায়-দায়িত্ব নেই, মায়া-দয়া নেই।’

ফজলুল হক মোল্লাকে স্মরণ করে ড. মোশাররফ বলেন, ‘বিএনপি নেতা ফজলুল হক মোল্লা ছিলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শের লড়াকু সৈনিক এবং তৃণমূলের একজন দক্ষ সংগঠক ও বিশিষ্ট সমাজসেবী। আজকের দেশরক্ষার এই চলমান আন্দোলনে তার বড়ই প্রয়োজন ছিল। ফজলুল হক মোল্লার রেখে যাওয়া আদর্শ অনুসরণ করে এই প্রজন্মের কর্মীদের সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে।’

সরকারকে বিদায় করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে সফল করতে সবাইকে শপথ নেওয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান সাবেক এ মন্ত্রী।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাকির হাসানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম ও সহ সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. মিজানুর রহমান।

অন্যদের মধ্যে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আক্তারুজ্জামান সরকার, সাধারণ সম্পাদক এ এফ এম তারেক মুন্সী, দাউদকান্দি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ, হোমনা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন, হোমনা পৌর বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক সানাউল্লাহ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।