২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪৭
শিরোনাম:

খালেদা জিয়া নতুন বউয়ের আদরে ক্যান্টনমেন্টে ছিলেন: তথ্যমন্ত্রী

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রোববার (২৬ মার্চ) সকালে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সময় টিভি, নিউজ বাংলা, ঢাকা পোস্ট

হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের কাছে ব্রিগেডিয়ার বেগ যে চিঠি লিখেছিল সেই চিঠির মাধ্যমে এটি প্রমাণিত যে, জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের চর হিসেবে কাজ করেছিল। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখেছি। এখনও বহু মুক্তিযোদ্ধা বেঁচে আছেন। যুদ্ধের সময় কোনো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে কেউ পানি খাইয়েছে অথবা একবেলা ভাত খাইয়েছে, সেই অপরাধে তাকে ধরে নিয়ে পাকিস্তানিরা হত্যা করেছে, বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, নির্যাতন করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছে, আর খালেদা জিয়াকে তারা নতুন বউয়ের আদরে আদরযত্ন করেছে। এতেই তো প্রমাণিত হয় যে, জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। মির্জা ফখরুলদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃতি ঢেকে যাওয়ায় তারা এখন আবোল-তাবোল বলছে। রাজাকাররাও আসলে মুক্তিযোদ্ধা, কারণ তারা পাকিস্তানের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন। সেই শঙ্কার মধ্যেই আছি মির্জা ফখরুল কখন তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন। তার কাছে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা কী আমি জানি না।

সরকার বিদেশিদের কাছে ধরনা দিচ্ছে, ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা তো কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে দৌড় দেয়, কোনো কিছু হলেই বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে কথা বলে। এমনকি মির্জা ফখরুল সাহেব নিজে চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেসম্যানদের কাছে বাংলাদেশকে সাহায্য বন্ধ করার জন্য। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশকে যাতে সাহায্য বন্ধ করে দেয়, জিএসপি সুবিধা যাতে বাতিল করে এজন্য চিঠি লিখেছিলেন। এজন্য নিজের নামে নিবন্ধ লিখেছেন ওয়াশিংটন টাইমসে। যারা কথায় কথায় বিদেশিদের কাছে দৌড় দেয়, তারাই এসব উদ্ভট কথা বলতে পারে।