১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৮
শিরোনাম:

মৃত্যুর আগে ধর্ষকের নাম জানিয়ে গেলো শিশুটি

ঢাকার সাভারে ভাড়া বাসার ছাদে ধর্ষিত হওয়ার প্রায় এক মাস পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিবেশী যুবককে আটক করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (২ জুন) গভীর রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট বটতলা এলাকা থেকে অভিযুক্তকে আটক করে র‌্যাব-৪।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মিরপুরে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়। মেয়েটির বাবা পেশায় কন্ট্রাক্টর। মেয়েটি বাবা, ভাই ও খালার সাথে নরসিংহপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে।

মেয়েটির খালাতো ভাই জানান, ওর মা কয়েক মাস আগে সৌদি আরবে চলে যান। ওর বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। আর বাবা ও বড় ভাই গ্রামের বাড়িতে থাকে। মা বিদেশ যাওয়ার পর থেকে মেয়েটি আশুলিয়ার নরসিংহপুরের ভাড়া বাসায় থাকে। প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সজল তার স্ত্রীকে নিয়ে একই বাসায় থাকে। সজল পেশায় দিনমজুর হিসেবে কাজ করলেও সে নিয়মিত টিকটক ভিডিও বানায়। আমাদের পরিবারের সাথে সজলের ভালো সম্পর্ক। মাঝে মধ্যে ওকে নিয়েও সে টিকটক বানাতো।

তিনি আরও জানান, গত প্রায় এক মাস আগে সজল ওকে আমাদের বাসার পাঁচতলার ছাদে টিকটক করতে নিয়ে যায়। এরপর সে ওকে ধর্ষণ করে। এঘটনার পর থেকে ও অসুস্থ হয়ে পড়লেও ভয়ে বাসার কাউকে কিছুই বলনি। মাঝে মাঝে সজল ওর জন্য ওষুধ কিনে নিয়েও যেতো। এতো ভালো ব্যবহারের কারণে আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। গত এক সপ্তাহ আগে অসুস্থতার খবর পেয়ে ওর মা বিদেশ থেকে চলে আসে। হঠাৎ তিন-চার দিন আগে খিচুনি উঠে শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে ওকে ঢাকার মিরপুরে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ওকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে চিকিৎসক জানায়। এরপর ওর সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছু নিজেই মা ও খালাকে জানায়। এঘটনার পর শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওর মৃত্যু হয়। পরে র‌্যাবের সহযোগিতা নিয়ে সজলকে আটক করা হয়। আমরা সজলের ফাঁসি চাই।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, প্রায় এক মাস আগে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ার মাধ্যমে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি৷ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়। এঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।