বুধবার সকালে ঢাকার মিরপুর মাজার রোডে এক পরিচ্ছন্নতা অভিযানের শুরুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি অনুরোধ করব, দায়সারা গোছের ওষুধ ছিটানোর প্রয়োজন নেই।
“যেই ওষুধে সত্যিকার অর্থে মশক নিধন হবে, মানুষ চায় সেই ওষুধটা। আমরা লোকে দেখানো কর্মসূচি… জনগণকে ভাওতা দিতে চাই না, প্রতারণা করতে চাই না।”
ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করতে ‘পরিষ্কার রাখি চারপাশের পরিবেশ, শেখ হাসিনার নির্দেশ ডেঙ্গুমুক্ত বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই কর্মসূচি পালন করছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
মশা মারার ওষুধ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “মশার কার্যকর ওষুধ আমদানির প্রক্রিয়া দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আশা করছি, দুই-চার দিনের মধ্যে কার্যকর এই ওষুধ… সিটি করপোরেশনের মেয়র সাহেব বলছেন, ব্যবস্থা করছেন।”
“দুই-চার দিনের মধ্যে মশা নিধনের কার্যকর ওষুধ আমরা পাব, ঢাকায় এসে পৌঁছাবে।”
লন্ডন সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, “কারও ঘরের কাছে বা ঘরে যদি এ ধরনের পানি জমা যেখানে এ ধরনের মশা তৈরি হচ্ছে, এরকম আমরা যদি দেখতে পাই, তাহলে তাদেরকে ফাইন করা হবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশনস সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
সরকারের তরফ থেকে ২৩ জনের ডেঙ্গুতে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আসা খবরে এই সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমাদের নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যতদিন আমরা এই ডেঙ্গু জ্বর আর এইডিস মশাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারব, ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।”
নগরবাসীকে যার যার ঘর, ঘরের আঙিনা, যার যার কর্মস্থল, আশপাশের এলাকা, স্কুল, কলেজ ক্যাম্পাস এবং বিপণি বিতান পরিচ্ছন্ন রাখা রাখার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, “এটাই হচ্ছে শেখ হাসিনার নির্দেশ।”
তিনি বলেন, “আমাদের এই প্রোগ্রাম হচ্ছে; অ্যাকশন প্রোগ্রাম। এই অ্যাকশন শেখ হাসিনার অ্যাকশন, ডেঙ্গু বিরোধী অ্যাকশন, এইডিস বিরোধী অ্যাকশন। এটা সচেতনতামূলক একটা প্রোগ্রাম।”
ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে সবাইকে মশারি ব্যবহারেরও পরামর্শ দেন সরকারের সেতুমন্ত্রী কাদের।
তিনি বলেন, “মশারি টাঙানোর বিকল্প নেই। আপনি যখন ঘুমোতে যাবেন, রাতের বেলায় তো… দিনের বেলায়ও মশারি ব্যবহার করবেন।”
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আওয়ামী লীগ ‘সফল হবে’- এমন আশা প্রকাশ করে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মানুষ আজ এই প্রাণঘাতি ডেঙ্গু জ্বর থেকে মুক্তি চায়। মানুষ আজ এইডিস মশার উপদ্রপ থেকে বাঁচতে চায়। মানুষের থেকে মশক শক্তিশালী নয়। আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। সমন্বিত উদ্যোগে এই প্রাণঘাতি মশক নিধনে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইনশাল্লাহা আমরা সফল হব।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম