হাট ছাড়াও এখন সারা বছরই অনলাইনে পশুর বেচাকেনা চলে। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে সারা বছরের তুলনায় জনপ্রিয় এই মাধ্যমে পশু কেনার হার বেড়েছে। ডিবিসি নিউজ ৯:০০
কেনাকাটার সুযোগ দিতে, ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অনেকগুলো ফেসবুক পেজেও কাজ করছে।
নাগরিক ব্যস্ত জীবনে বিকল্প মাধ্যম হিসেবে, কয়েক বছর ধরেই একাধিক অনলাইন প্ল্যাট ফরমে মিলছে কোরবানির পশু।
বিক্রয় ডটকমে এখন জমে উঠেছে পশুর হাট। কর্তৃপক্ষ বলছে, আগের যে কোনো বছরের তুলনায় এবার বেচাকেনা ভালো। অনলাইনের এই হাটে পশু তুলছেন রাজধানীর আশপাশসহ সারাদেশের খামারিরা।
বিক্রয় ডটকমের বিপণন ও বিক্রয় প্রধান ইশিতা শারমিন বলেন, ১০ হাজারের মতো গরু ছাগলের বিজ্ঞাপন আমাদের সাইটে থাকছে। এটা গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। আমাদের ১০০টির মতো ফার্ম কাজ করছে, যারা ঈদের এতো আগেই ৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি করে ফেলেছে। আমাদের ৫০ শতাংশ পশুর দাম ৫০ হাজার টাকার মধ্যে, সর্বোচ্চ ২২ লখ টাকা দামের একটা গরু আছে।
অনলাইন শপ দারাজেও মিলছে কোরবানির পশু। নির্ধারিত টাকার বিনিমেয়ে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব নিচ্ছে এই অনলাইন শপ। আর একদম নিজের খামার থেকে বাছাই করা পশু সরবরাহ করে বেঙ্গল মিট।
ওয়েবসাইট ভিত্তিক এসব প্ল্যাটফরমের বাইরে ফেসবুকেও চলে কেনাকাটা। নিতান্তই শখের বশে গড়ে তোলা এসব পেইজ এখন অনেক ক্রেতা-বিক্রেতার নির্ভরতার জায়গা।
বিরাট গরু ছাগলের হাট গ্রুপের অ্যাডমিন সুলতান মির্জা বলেন, মানুষ বিভিন্ন হাট থেকে গরু কিনেন, তাদের খুশি শেয়ারের জন্য এই গ্রুপ খোলা হয়। তারপর এই গ্রুপের অনেকেই ক্রয়-বিক্রয়ের পোস্ট দিয়ে নিজেদের মধ্যে যোগাগোমের মাধ্যমে পশু কেনাবেচা হয়। এই গ্রুপে যে কেউ পোস্ট করতে পারেন।
তবে, খামার থেকে পশু কিনে ফেরার পথে চাদা নেয়ার জন্য বাধা তৈরি করছে হাট ইজাদারের লোকজন। অসন্তুষ্ট খামারিরা এ নিয়ে প্রতিকার চান প্রশাসনের কাছে। সম্পাদনা : রাশিদ/রাজু আহ্সান