২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:৩২
শিরোনাম:

রাজপথ দখল রাখতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান বিএনপি নেতাদের

দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‌্যালিতে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ ও ব্যাপক লোক সমাগমের কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, আজকের র‌্যালি প্রমাণ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার দমন করতে পারবে না। সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে র‌্যালির উদ্বোধন কালে তিনি এ কথা বলেন।

দুপুর ১২টা থেকে খন্ড খন্ড মিছিলে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। একপর্যায়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে নয়াপল্টন এলাকা। ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে নেতাকর্মীরা ‘বন্দি আছে আমার মা, ঘরে ফিরে যাবো না, হামলা করে আন্দোলন- বন্ধ করা যাবে না’ এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়। এসময় ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে। দুপুর ২টায় র‌্যালী শুরুর কথা থাকলে বিকাল সাড়ে ৩ টায় র‌্যালী শুরু হয়।

অস্থায়ী ট্রাক মঞ্চ থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে র‌্যালিটি নাইটিংগেল, কাকরাইল, শান্তিনগর হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিকে ঘিরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের আশ-পাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তার বলায় গড়ে তুলতে দেখা যায়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, যদি বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আনতে চাই তাহলে আমাদের ত্যাগ স্বীকার করে হবে। রাজপথে স্বোচ্চার হয়ে এই স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারের সব খেলা শেষ। তারা আমাদের দূর্বল করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা দূর্বল নই, আগের চেয়ে আমরা অনেক শক্তিশালী।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি আদায় করতে হলে, মিছিলে মিছিলে যোগ দিতে হবে এবং রাজপথ দখল করতে হবে। সরকারের পতন ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির হবে না। তাই আসুন, আমরা সরকার পতনের আন্দোলনে যাই।

মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির মিছিল সরকার আর স্তব্ধ করতে পারবে না। অনেকেই বলেন, আন্দোলন কবে হবে? আমি বলবো, বেগম জিয়ার আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।