২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১৮
শিরোনাম:

নারী পুলিশ-রিজার্ভ ইন্সপেক্টরের অনৈতিক ভিডিও

সিলেটে নারী পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ইন্সপেক্টর (এসএমপির) গোবিন্দ শুল্ক দাসের অনৈতিক ভিডিওর বিষয়টি তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার কনস্টেবল আশরাফুল মৃত্যুর ১ মাস পর চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন এসএমপি কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।

উপপুলিশ কমিশনার তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরক্তি উপকমিশনার (গণমাধ্যম) জেদান আলা মুসা। তবে বাকি সদস্যেদের নাম বলতে রাজি হননি তিনি।

এ বিষয়ে জানতে সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি দেখা না করে এডিসি মিডিয়া জেদান আল মুসার কাছে পাঠান। তিনিও এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তবে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা নিশ্চিত করেন।

বুধবার তদন্ত কমিটি সেই চিঠি হাতে পেয়েছে।

গত ১২ জুন রাতে কনস্টেবল আশরাফুলের কথিত স্ত্রী সিলেট মেট্রোপলিটনের এক নারী কনস্টেবলের সঙ্গে রিজার্ভ ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসের অনৈতিক সম্পর্কের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করেন আশরাফুল নিজেই। পরে ইন্সপেক্টর গোবিন্দ শুল্ক দাসকে বেধড়ক মারধর করেন আশরাফুল। ভিডিও থেকে যায় তার মোবাইলে।

গত ১৮ আগস্ট গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে সিলেট কর্মস্থলে ফেরার পথে হবিগঞ্জের বাহুবলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান আশরাফুল। কিন্তু তার শরীরে কোনো আঘাত না থাকায় সন্দেহ হয় পরিবারের।

পরে হাইওয়ে পুলিশ আশারাফুলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়।

মোবাইলে থাকা তিনটি ভিডিও ক্লিপ আশরাফুলের মৃত্যু সড়ক দুর্ঘটনা না হত্যা- এ নিয়ে সন্দেহ হয় পরিবারের কাছে। যে ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় ইন্সপেক্ট গোবিন্দ শুল্ক দাসের সঙ্গে আশরাফুলের কথিত স্ত্রী ওই নারী কনস্টেবলের ভিডিও এবং ইন্সপেক্টর গোবিন্দকে বেঁধে রাখার বিষয়।

আশরাফুলের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম এবং তার চাচাতো ভাই শফিকুল ইসলাম গত ৪ সেপ্টেম্বর ৩টি ভিডিও ক্লিপ এসএমপি পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার হাতে তুলে দেন এবং তাদের সন্দেহের কথা জানান।

রহস্যজনক কারণে দুই পুলিশ সদস্যের নৈতিক স্থলনের ভিডিও হাতে পেয়েও ১০ দিনে কোনো ব্যবস্থা নেননি এসএমপি কমিশনার।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর যুগান্তরের হাতে আসে ভিডিওগুলো। এ নিয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর ‘সিলেটে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু নিয়ে রহস্য’ শিরোনামে দৈনিক যুগান্তরে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এর পরই নড়েচড়ে বসে এসএমপি পুলিশ। সেদিনই আশরাফুলের সড়ক দুর্ঘটনার মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয়া হয়।