২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:৩৭
শিরোনাম:

দেশে ভোটাধিকার নেই, কথা বলার স্বাধীনতাও নেই: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা উল্লেখ করে বলেন, মানুষের কোনো রকম অধিকার নেই বললেই চলে। মানুষের ভাত-কাপড়ের নিরাপত্তা নেই। সংবিধান অনুযায়ী মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা সরকার ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে এ ব্যাপারে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দেশের মানুষকে যেকোনোভাবেই হোক, মুক্ত করতে হবে।

শনিবার দুপুরে শহরের টাউন হল মিলনায়তনে লক্ষ্মীপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। দেশে একটা সুন্দর সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনি ব্যবস্থা সঠিক হোক, জনগণ তাদের পছন্দের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে পারে- এটাই কামনা করছি। দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে মানুষ সোচ্চার হয়ে উঠেছে। আমি মনে করি এটা অগ্রসরমান। সামনে এটাই সফল হবে। জনগণ এটাই চাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, দেশ পরিচালনায় বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে এক দলের চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত হবে। বর্তমানে বিদেশি প্রেশার কাজ করছে। আমরা তাকিয়ে আছি, অন্যান্য রাজনৈতিক দল চেষ্টা করছে। এই রকম সুযোগে সবাই যদি মিলেমিশে কিছু করতে পারে, তাহলে দেশের মানুষ উদ্ধার হবে।

যদি বিদ্যমান অবস্থায় নির্বাচন হয় এবং বর্তমান সরকারই ক্ষমতায় আসে, তাহলে পরিস্থিতির কোন উন্নতি হবে না বলে জাপা চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন। এজন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতির জন্য বড় ধরনের একটা পরীক্ষা।

লুটপাটের কারণে সাধারণ মানুষের দুরবস্থা বাড়ছে। অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, এটা আরো বাড়বে। দেশের মানুষ একটা অজানা অনিশ্চিত বিপর্যয়ের দিকে ধাবিত হচ্ছে। একদিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন গতি, অন্যদিকে প্রতিদিন মানুষের আয় কমছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে না এই সরকার।

জি এম কাদের বলেন, আমরা এমন সরকার চাই যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে। স্বৈরাচার হবে না, ভালো কাজ করতে না পারলে জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব পরিবর্তন করবে এমন ব্যবস্থা চাই।

জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মোহাম্মদ উল্যার সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ও প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল হোসেন বাবলা, ব্যারিষ্টার আনিসুল হক, সাবেক এমপি মোহাম্মদ নোমান প্রমূখ।