#লিড • Uncategorized • রাজনীতি
রাজধানীর নিকেতনে নিজ ব্যবসায়িক কার্যালয় ‘জি কে বিল্ডার্সে’ অভিযান চালিয়ে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় সেখান থেকে নগদ প্রায় দেড় কোটি টাকাসহ ২০০ কোটি টাকার এফডিআর উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিদেশি মদও জব্দ করা হয়।
শামীমের সঙ্গে থাকা তার সাত দেহরক্ষীকেও আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে জি কে শামীমকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। জি কে শামীম যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক বলে লোকমুখে শোনা গেলেও যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর দাবি, শামীম যুবলীগের কেউ নয়। তিনি বলেন, তার (শামীম) সঙ্গে যুবলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। জাগো নিউজ
সংগঠনটির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মিজানুল ইসলাম মিজু বলেন, শামীম যুবলীগের কেউ নন, তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
একসময়ের যুবদল নেতা ক্ষমতার পরিবর্তনে হয়ে যান যুবলীগ নেতা! নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিও জি কে শামীম। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সন্মানদী ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত মো. আফসার উদ্দিন মাস্টারের ছেলে তিনি। আফসার উদ্দিন মাস্টার ছিলেন হরিহরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন ছেলের মধ্যে জি কে শামীম মেজো।
ছোটখাটো মানুষ হলেও শামীমের ক্ষমতার দাপট ছিল আকাশসমান। রাজধানীর সবুজবাগ, বাসাবো, মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকায় জি কে শামীম প্রভাবশালী ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। গণপূর্ত ভবনের বেশির ভাগ ঠিকাদারি কাজই জি কে শামীম নিয়ন্ত্রণ করেন। বিএনপি-জামায়াত শাসনামলেও গণপূর্তে এ শামীম ছিলেন ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি।
অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে গত বুধবার সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদকে আটক করে র্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা হয়।
ওই ঘটনায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বরাত দিয়ে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ এ তথ্য জানান।