উসমান সেনওয়ারির বোলিং তোপে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছিলো শ্রীলংকা। ১০.১ ওভারে স্কোর বোর্ডে ২৮ রান যোগ করতেই সাজঘরে ফেরেন লংকান ৫ ব্যাটসম্যান। তখনই পাকিস্তানের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলো। ম্যাচের আগ্রহটাই হারিয়ে গিয়েছিলো দুই দেশের দর্শকদের কাছে।
ঠিক খাদের কিনারার ওই জায়গা থেকে দলকে টেনে তুলেছিলেন সানাকা ও জয়সুরিয়া। কিন্তু স্লগ ওভারের চাপ সামলাতে পারেননি লংকান ব্যাটসম্যানরা। ৪১ তম ওভারে ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভেঙে যাওয়ার পর পরের দুটি উইকেটও ভেঙে যায় দ্রুততার সঙ্গেই। মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে দৃশ্যত ছিটকে যায় লংকানরা।
তবে এ ম্যাচের উল্লেখযোগ্য দিক ছিলো জয়সুরিয়ার অনবদ্য ব্যাটিং। কিন্তু ৪ রানের আক্ষেপ নিয়েই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে লংকান এ উদীয়মান তারকাকে। ব্যক্তিগত ৯৬ রান করে আউট হয়ে কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় জয়সুরিয়ার। তার ফিরে যাওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সানাকাও।
মূলত শ্রীলংকার ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন উসমান সেনওয়ারি। তিনি ১০ ওভারে একটি মেডেনসহ ৫১ রানে ৫টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ৭ ওভারে ২১ রানে একটি উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।
সোমবার করাচির জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় খেলায় বাবর আজমের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩০৫ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৩ রান সংগ্রহ করে সাজঘরে ফেরেন ইমাম-উল-হক। তার আগে ৪১ বলে ৩১ রান করেন পাকিস্তানের এ ওপেনার।এরপর ৩১ রানের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন অন্য ওপেনার ফখর জামান। তার আগে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ম্যাচে ১২তম ফিফটি গড়েন তিনি।১০৪ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন বাবর আজম ও হারিস সোহেল। তৃতীয় উইকেটে তারা ১১১ রানের জুটি গড়েন। ৪৮ বলে ৪০ রান করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন হারিস। তার বিদায়ের পরও ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন তিন নম্বর পজিশনে খেলতে নামা বাবর আজম।
ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন বাবর। তার ১০৫ বলে গড়া ১১৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে ৩০৫ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে পাকিস্তান। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৭১তম ইনিংসে ১১তম সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম ১১টি সেঞ্চুরি হাঁকান এ পাকিস্তানি।