২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:২০
শিরোনাম:

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুট ক্যান্টিনে দাম বেশি নেওয়ায় গোলাম মাওলা ফেরিকে জরিমানা

ক্যান্টিনে খাবারের দাম বেশি নেওয়ায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নোরুটে চলাচলরত ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ফেরির বাটলারকে জরিমানা করা হয়েছে। এক যাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করে।

বৃহস্পতিবার জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ঢাকা থেকে রাজবাড়ীগামী নাহিদুর রহমান হিমেল নামে এক যাত্রী গত ২ আগস্ট ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ফেরির ক্যান্টিনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ করেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ে।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ফেরির ক্যান্টিনের ফাস্টফুড স্টোর থেকে একটি হাফ লিটার পানি, একটি বিস্কুট ও একটি কেক ক্রয় করেন। এসময় প্রতিটি পণ্যের জন্য তার কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৫ টাকা করে বেশি নেয় বিক্রেতা। অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার বিষয়টি তিনি প্রতিবাদ করলেও বিক্রেতা তা তোয়াক্কা করেননি।

অভিযোগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, শুধু তার কাছ থেকে নয়, সবসময়ই যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিটি পণ্যের নির্ধারিত মূল্য থেকে ৫-৭ টাকা বেশি নেয় বিক্রেতা।

এদিকে, এ অভিযোগ আমলে নিয়ে রাজবাড়ী ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শুনানির জন্য তাদেরকে রাজবাড়ী কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ফেরির বাটলার মো. আবুল হাসনাত উপস্থিত হন। পরে অভিযোগ পর্যালোচনা করে তাকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় তিনি এ অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন এবং আর কখনো এমন অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ এলে আইনের যেকোনো শাস্তি তিনি মেনে নেবেন মর্মে লিখিত দেন।

এদিকে নিয়ম অনযায়ী অভিযোগের ভিত্তিতে করা জরিমানার ২৫ শতাংশ অভিযোগকারীর হাতে তুলে দিয়েছেন ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের রাজবাড়ী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম।

এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ফেরির বাটলার এবং ভেন্ডরদের বারবার সতর্ক করার পরেও তারা তা তোয়াক্কা করছেন না। এখন থেকে মাঝে মাঝে অভিযান চালানো হবে।

এদিকে, এ অভিযোগ এবং জরিমানার পরেও গতকাল বুধবার ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা ফেরির বিরুদ্ধে ফের পণ্যের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফেরির ক্যান্টিনে প্রতিটি পণ্যের মূল্য ৫ টাকা করে বেশি নেওয়া হচ্ছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল বলেন, শিগগিরই ফেরিঘাটে অভিযান পরিচালনা করা হবে। পণ্যের মূল্য বেশি নিলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।