শুধু অফিস-আদালতেই নয়, এখন বাসা বাড়িতেও ব্যবহৃত রয়েছে এয়ারকন্ডিশন। যতই দিন যাচ্ছে মানুষ গরম এড়াতে এয়ারকন্ডিশনের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। এতে বিপদও বাড়ছে। কারণ দীর্ঘ সময় এসির নিচে থাকলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকলে কোন কোন স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যায়-
শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ
যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বা অন্তত টানা ৯-১০ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে কাটান, তাদের মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের নানা সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়। অতিরিক্ত এসির ব্যবহার শ্বাসতন্ত্রের নানা সংক্রমণকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
চোখের সমস্যা
অতিরিক্ত এসির ব্যবহার কনজাংটিভাইটিস (conjunctivitis) এবং ব্লেফারাইটিস-এর (blepharitis) মতো চোখের একাধিক সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া যারা চোখে লেন্স ব্যবহার করেন, তাদেরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
স্নায়ুর সমস্যা
অতিরিক্ত এসির ব্যবহার বেশ কয়েকটি রোগের প্রকোপকে বাড়িয়ে দিতে পারে। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বা অন্তত টানা ৯-১০ ঘণ্টা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে কাটান, তাদের মধ্যে আর্থাইটিস, ব্লাড প্রেসার বা নানা ধরনের স্নায়ুর সমস্যা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।
অ্যালার্জির সমস্যা
অতিরিক্ত এসির ব্যবহার বা দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকার ফলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যাও মারাত্মকভাবে বেড়ে যেতে পারে।
ত্বকের সমস্যা
দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় এবং ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক অবসাদ
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে দীর্ঘক্ষণ থাকেন, তারা মাথা ব্যথা বা মানসিক অবসাদের মতো সমস্যায় বেশি ভোগেন।
কাজেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিজেকে সুস্থ রাখতে যা করবেন-
ঘরের তাপমাত্রা ২১-২৫ ডিগ্রির মধ্যে রাখতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, ঘরের তাপমাত্রা যেন কখনোই ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম না থাকে। আর শীতের মরসুমে এসি ব্যবহার না করাই ভালো। একই সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করুন।মাঝে মধ্যেই মুখে, হাতে পানি দিন। প্রয়োজনে হালকা চাদর গায়ে জড়িয়ে রাখুন।