৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:৩৩
শিরোনাম:

কলেজে না গিয়েও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন নেহা!

মেডিকেল কলেজে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তৌফিকা রহমান নেহা। প্রকাশিত ফলাফলে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৮৯ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেন তিনি।

সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোড মোড় এলাকার বাসিন্দা তৌফিকা রহমান নেহা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা শেখ হাফিজুর রহমানের ছোট মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট নেহা। বড় ভাই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করেছেন। মা নাজমা সুলতানা গৃহিনী।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তৌফিকা রহমান নেহা। তবে ঠিকমতো কলেজেই আসা হতো না নেহার। ঠিকমতো ক্লাস না করেও এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলে দ্বিতীয় হয়েছেন তিনি। বিষয়টি অভিনব বলে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক কাজী আসাদ।

নেহার এমন কৃতিত্বের বিষয়ে তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, তৌফিকা রহমান নেহা মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় দ্বিতীয় হয়ে এ কলেজে গৌরব এনে দিয়েছে। যদিও এমন অর্জনে তারই কৃতিত্ব বেশি। কারণ কলেজে নেহার উপস্থিতি তেমন একটা দেখা যায়নি। সে ক্ষেত্রে বলা যায়, ঠিকমতো ক্লাস না করেও দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে নেহা। খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী সে। কলেজে নেহা কেন কম আসত প্রশ্নে ওই শিক্ষক জানান, শুধু নেহা নয়, বিজ্ঞান বিভাগের অধিকাংশ শিক্ষার্থী কলেজে আসতে চায় না। তবে নেহা কেন আসত না এটি সে ও তার পরিবারই বলতে পারবে।

নেহার এমন ফলে আনন্দের বন্যা বইছে তার পরিবারে। এমন ফলে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তৌফিকা রহমান নেহা বলেন, এর চেয়ে বড় খুশির সংবাদ আর কিছুই হতে পারে না। চিকিৎসক হয়ে দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ পাব এর চেয়ে খুশির সংবাদ আর হতেই পারে না। ভালো ডাক্তার হওয়ার আগে ভালো মানুষ হয়ে দেশসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান নেহা।

উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় সরকারি-বেসরকারি মেডিকেলে ১০ হাজার ৪০৪ আসনের বিপরীতে অংশ নেন ৬৯ হাজার ৪০৫ শিক্ষার্থী। আর সেই ৬৯ হাজার ৪০৫ জনকে হারিয়ে প্রথম হয়েছেন রাগীব নূর, দ্বিতীয় হয়েছেন তৌফিকা রহমান নেহা আর তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন ঢাকার ডেমরা শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পাস করা শিক্ষার্থী সুইটি সাদেক।