ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১৬ আসামির একজন হলেন সদ্য মা হওয়া কামরুন নাহার মনি। বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় চার দিনের কন্যাশিশু কোলে নিয়ে মনি তার সাজার রায় শোনেন। এর আগে গত ২১ অক্টোবর কারাগারে মা হন তিনি। সূত্র : জাগো/ঢাকা টাইমস
কারাবিধি অনুযায়ী রায়ে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামির জায়গা হয় কনডেম সেলে। মনিরও তাই হওয়ার কথা। স্বভাবতই সেখানে তার শিশুসন্তানকে রাখার সুযোগ নেই। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে মনির শিশুসন্তানটি কোথায় থাকবে। শিশুটি কি মায়ের স্বাভাবিক লালনপালন থেকে বঞ্চিত হবে? আইন ও জেলকোড বিধান কী বলছে।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, উচ্চ আদালতে আবেদন করলে মনির বাচ্চার বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন। আর নানা প্রক্রিয়া পেরিয়ে সাজা কার্যকরের সময় হতে হতে বাচ্চাটি ততদিনে বাবার জিম্মায় যাওয়ার মতো বড় হয়ে যাবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীনের আইনি পেশার জীবনে এ ধরনের ঘটনা বিরল। তিনি মনে করেন, মনি তার শিশুর ব্যাপারে হাইকোর্টে আবেদন করলে হয়তো আদালত বিবেচনা করতে পারে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘রায়ের পূর্ণাঙ্গ লিখিত কপি এখনো প্রকাশিত হয়নি। রায়টি প্রকাশিত হওয়ার পর কপি পড়ে বুঝতে পারব এ মামলায় কার কী অপরাধ। কোন আসামির কতটুকু সম্পৃক্ততা।’
নুসরাত হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ এর আগে খুব একটা দেখেননি উল্লেখ করে এই আইনজীবী নেতা বলেন, ‘মাদ্রাসার একজন অধ্যক্ষ ছাত্রীর সঙ্গে এ রকম কুরুচিপূর্ণ আচরণ করবে এমনটি ভাবলে গা শিউরে ওঠে। আর মনির শিশু বাচ্চাটির ব্যাপারে হাইকোর্টে আবেদন করলে হয়তো আদালত বিবেচনা করতে পারে।’মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মনজিল মোরসেদ মনে করেন উচ্চ আদালতে আবেদন করলে মনি কনডেম সেল থেকে সাধারণ সেলে বসবাসের অনুমতি পেতে পারে। সম্পাদনা : মহসীন