২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:২৯
শিরোনাম:

জুয়ারির কথা গোপন রাখা সর্বোচ্চ ১৮ মাস ও সর্বনিম্ন ৬ শাস্তি পেতে পারেন সাকিব

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় ১৮ মাসের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এই বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছে দেশের একটি দৈনিক পত্রিকা। যদিও এই বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও সাকিবের পক্ষ থেকে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে সাকিব যদি সত্যি প্রমাণিত হন তাহলে আইসিসির নিষেধাজ্ঞার কাঠগড়ায় উঠবেন তিনি।

সাকিব ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো কেলেঙ্কারি কাজ করেননি। জুয়াড়ির প্রস্তাব পাওয়ার সাথে সাথেই তা ফিরিয়ে দিয়েছেন তবুও কেন তাকে শাস্তি দেয়া হবে এটাই এখন মূল প্রশ্ন। ম্যাচ না পাতালেও আইসিসির আইন ভঙ্গ করেছেন তিনি। তাইতো শাস্তি পেতে হবে তাকে। বরাবরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইসিসির অবস্থান কঠোর।

আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালার ২.৪.৪ ধারা অনুসারে কেউ যদি আইসিসির দুর্নীতি দমন কোডের অধীন কোনো দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রস্তাব পায় তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণী আইসিসিকে অনতিবিলম্বে জানাতে হবে। কিন্তু কোনো কারণবশত জানাতে ব্যর্থ হলে তার সর্বনিম্ন ৬ মাস এবং সর্বোচ্চ ৫ বছর নিষেধাজ্ঞা বহনের শাস্তি হতে পারে। সাকিব ম্যাচ পাতানোতে না জড়ালেও আইসিসিকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানাননি।

সাকিব যে জুয়াড়ির কাছে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সে খবর তিনি না জানালেও ভিন্ন মাধ্যম থেকে জানতে পেরেছিলো আইসিসি। যথারীতি তদন্ত শুরু করেছিলো আইসিসি দুর্নীতি দমন বিভাগ আকসু। তাদের তদন্তে আবার সাহায্য করেছিলেন সাকিব। সেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনও করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, এই প্রস্তাবকে হালকা ভাবে নিয়েছিলেন বলেই আইসিসিকে জানানো হয়ে উঠেনি। তবে নিজের ভুল স্বীকার করেছেন সাকিব। এই তদন্তে সাহায্য করার জন্য বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের শাস্তি কিছুটা কম দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিকভাবে যদিও দেড় বছর (১৮ মাস) নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তিনি শাস্তি কমানোর আবেদন করলে আরও কিছুটা কমতে পারে, তবে সেটা ৬ মাসের কম নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য যে মাসটাও অনেক বড় ধাক্কা। কারণ, দলের সেরা পারফর্মারের সাথে সাথে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কও যে তিনি।