৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:০৭
শিরোনাম:

সাকিবদের শাস্তি দিলেও জুয়াড়িদের ধরা-ছোঁয়ার এখতিয়ার নেই আইসিসির

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা রয়েছে, সাকিব আল হাসানকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসেই সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় অগাস্টে। সেখানে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন সাকিব আল হাসান। ফলে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েও এক বছর ক্রিকেট থেকে বাইরে থাকবেন। তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সাকিবের ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দায়ী। কিন্তু এই ঘটনার সাথে আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই। আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন সাকিব শাস্তি পেয়েছে কিন্তু জুয়াড়ির কিছু হচ্ছে না কেন।

আইসিসির ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা রয়েছে জুয়াড়ির নাম দীপাক আগারওয়াল। যিনি ভারতীয় নাগরিক হলেও বসবাস করেন দুবাইতে। আর তিনি একজন পেশাদার বুকি বা জুয়াড়ি। তার বিরুদ্ধে আইসিসি কোনো ব্যবস্থা নেয়ার অধিকার রাখে না আইনত। তাছাড়াও আগারওয়ালের পেশাই হলো জুয়া। সুতরাং তার প্রফেশনাল কাজই তিনি করেন। আর এ কথা ঠিক যে গ্যাম্বলিং (ক্রীড়া ইভেন্ট নিয়ে বাজি ধরা) অনেক দেশেই বৈধ। সুতরাং ওইসব দেশে বসে যদি কেউ জুয়ায় জড়িত থাকে তবে সেটা আইনত দন্ডনীয় নয়। যদিও তারা চিহ্নিত তবুও আইসিসির কিছু করার থাকে না।

এক্ষেত্রে আইসিসি বারবার ক্রিকেটারদের সচেতন করে। যেহেতু আইসিসি কিংবা কোনো বোর্ড তাদের কিছু করতে পারেন না। তাই ক্রিকেটারদের তাদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেন। কারো কোনো কথাবার্তা কিংবা আচরণে সন্দেহ জাগলেই বোর্ড অথবা আইসিসিকে জানাতে বলা হয়েছে। সুতরাং সাকিবের দোষটা মানতেই হচ্ছে। যে কারনে তিনি নিজেও আইসিসির কাছে তার অপরাধথ স্বীকার করে নিয়েছেন। যদিও এ ঘটনার পর বাংলাদেশি ক্রিকেটভক্তদের মাঝে পাপনের উপর একটা বিদ্বেষ কাজ করছে। একই সঙ্গে সাকিবকে নিরপরাধও ভাবছেন তারা।