২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:০৫
শিরোনাম:

রাজধানীতে ১৭ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ৩

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড ও শাহজাহান রোড এলাকা থেকে ১৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। আটককৃতরা হলো- ইমরান হোসেন ওরফে বিহারী হোসেন (২৯) ও এসএম নাদিম ইকবাল (২৭)।

শুক্রবার রাতে তাদের আটক করা হয়। এছাড়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক হাজার ৯০ পিস ইয়াবাসহ আলমগীর মোল্লা (৪৫) নামের এক জনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ (এএপি)।

ডিএনসির খিলগাঁও সার্কেলের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. সুমনুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদে জানা যায়, টেকনাফ থেকে লবণের ট্রাকে করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইয়াবা আনবে একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র। ওই তথ্যের যাচাই-বাছাই শেষে প্রথমে শুক্রবার বিকেলে মোহাম্মদপুরের শাহজাহান রোড এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা নাদিমকে আটক করা হয়। পরে তার পিঠে ঝুলানো ব্যাকপ্যাক থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায় ইমরানের বাসায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাসা থেকে ১১ হাজার পিন ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ইমরানকে। জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানিয়েছেন, তিনি বিহারী ক্যাম্পের বিভিন্ন মাদকসেবী ও বিক্রেতার কাছে ইয়াবা বিক্রি করেন।

আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে সুমনুর রহমান বলেন, উদ্ধার ইয়াবাগুলো বৃহস্পতিবার লবণের ট্রাকে করে দাদা নামের একজন টেকনাফ থেকে পাঠিয়েছেন। ইমরান সেগুলো রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ থেকে সংগ্রহ করেন।

সুমনুর রহমান জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় পৃথক মাদক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া আটক নাদিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডিএনসির দুটি ও পুলিশের দায়ের করা ৪ টি মাদক মামলা রয়েছে।

এএপির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন বলেন, শুক্রবার সকালে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসেন আলমগীর মোল্লা। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বর্হিগামী গাড়িপার্কিং এলাকায় সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করছিলেন। সন্দেহ হলে তাকে চ্যালেঞ্জ করে এএপির দায়িত্বরত সদস্যরা। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে কতাকে আটক করে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পেটের ভেতর ইয়াবা থাকার কথা জানান। পরে বিশেষ কায়দায় সাড়ে সাত ঘণ্টা পর ইয়াবাগুলো বের করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, গাজীপুরের কালিয়াকৈরের জনৈক মুমিনুলের অর্থায়নে তিনি ইয়াবাগুলো বহন করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে।