৭ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:২৯
শিরোনাম:

খালেদা জিয়ার মুক্তিতে অনীহা থাকলে, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দীর্ঘ পথ চলা ক্ষতিকর : গয়েশ্বর চন্দ্র

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণসভায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা যাদের সঙ্গে চলি তাদের যদি আমাদের নেত্রীর মুক্তির কথা বলতে অনিহা থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে দীর্ঘ পথচলা ক্ষতিকর হবে। বিএনপি নেতা এম কে আনোয়ারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় হোমনা উপজেলা জাতীয়তাবাদী ফোরাম এ সভার আয়োজন করা হয়।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমি বিশ্বাস করি, যদি আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে মাঠে থাকি তাহলে আমাদের শক্তি যথেষ্ট।সেই কারণে যারা (জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট) আছে তাদের সম্মান করি ও গুরুত্ব দেই।কিন্তু তারা যদি আমাদের ঘাড়ে চেপে তাদের নিজস্ব টার্গেট নিয়ে চলতে চায়, সেই পথ চলা আমাদের জন্য বোকামি হবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি জন্য তাদের কেন মঞ্চে চিরকুট দিতে হবে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা তারা কেন বলতে পারবে না? আর যার বিরুদ্ধে আমরা রাজনীতি করি তাদের কথা জোরেশোরে আমাদের সামনে কেন বলা হয়।তারপরও আমরা সহ্য করি কেন? শুধুমাত্র করি-জাতীয় ও জনগণের স্বার্থে। একারণে আমি মনে করি, সবাইকে একটু সতর্ক হওয়া ভালো।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য গয়েশ্বর বলেন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের নিজেদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস নেই।তারপরও জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার তাগিদ থেকে ছোট, বড় ও মাঝারি দলসহ অনেক দল নিয়ে ঐক্য করেছি। আবার ফ্রন্টও করেছি। এটা কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক অলঙ্কার হতে পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে হবে।আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধিনে ভোটের মাধ্যমে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে আজকের এ অত্যাচার ও নিপীড়ন থেকে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কি করেছেন? এ ভিসির প্রতি স্পষ্ট অভিযোগ, গত ঈদে ছাত্রলীগের ছেলেদের ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা সেলামি দিয়েছেন।তার কাছে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা চেয়েছেন।সেই ভিসিকে রক্ষা করার জন্য মঙ্গলবার ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা দানবে রূপান্তরিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।বিশ্বাস করা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র তারই সহকর্মী একটি মেয়েকে পেটে লাথি মেরে ফেলে দিতে পারে! এটা বিশ্বাস করা যায় না।কারা এদেরকে দানব বানালো? এ স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী সরকার।