হাসপাতাল থেকে এক বৃদ্ধাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরে স্বজনরা তাকে নিয়ে বাড়ি চলে আসেন। অথচ বাড়ি ফিরে দেখা যায় বৃদ্ধার শ্বাস চলছে। এরপর তিনি পানিও পান করেন। এই ঘটনা দেখে আনন্দময়ী দাস (৭৮) নামে ওই বৃদ্ধাকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে তিনি মারা যান। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতন থানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শান্তিনিকেতন থানার বোলপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন আনন্দময়ী দাস। ঘটনার দিন বার্ধক্যজনিত কারণে তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসক পঙ্কজ বিশ্বাস তাকে মৃত বলে পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেন। আর ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালে ভর্তি না করানোর কারণে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাকে বাড়ি নিয়ে যান স্বজনরা।
ওই বৃদ্ধার ছেলে নিতাই দাস জানান, বাড়ি ফিরে দেখা যায় তার মায়ের শ্বাস চলছে। বাড়ি গিয়ে তিনি পানিও পান করেন। এরপরই তড়িঘড়ি করে তাকে আবার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু তখন দেখা যায় তার মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বৃদ্ধার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ করেন। পরে খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই বৃদ্ধার স্বজনদের অভিযোগ, প্রথমবার হাসপাতালে নিয়ে আসার পর ঠিকমতো চিকিৎসা করলেই প্রাণে বেঁচে যেতেন তিনি।
এদিকে চিকিৎসক পঙ্কজ বিশ্বাস বলেন, ‘নার্ভ পাচ্ছিলাম না, আমার সিনিয়ররাও নার্ভ পাচ্ছিলেন না ওই বৃদ্ধার। সেটাই রোগীর আত্মীয়দের জানিয়ে দিই। ওরা তাকে নিয়ে চলে যান। পরে আবার এসে বলছেন, বাড়িতে পানি খেয়েছেন তিনি। তখন আবার দেখলাম, কিন্তু ততক্ষণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে।’