২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:৫৮
শিরোনাম:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তুর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষ,১৬ জন নিহত

রাত সাড়ে তিনটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেটের রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। আহতের সংখ্যা শতাধিক। তাদেরকে প্রথমে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

দুর্ঘটনা কবলিত আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকা সিলেট রেলওয়ে থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইকবাল হোসেন জানান, উদয়ন ট্রেনটি তুর্না নীশিতা ট্রেনটিকে সাইড দিচ্ছিল। উদয়নের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তুর্না নীশিতা ধাক্কা দিলে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

জানা গেছে, সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী ৭২৪ উদয়ন এক্সপ্রেস-২৯৩৪ মন্দভাগ লুপ লাইনে প্রবেশকালে ঢাকা অভিমুখী ৭৪১ তুর্ণা এক্সপ্রেস-২৯২৩ বিপরীত দিক থেকে এসে সংঘর্ষ ঘটায়।তুর্ণার ইঞ্জিনের আঘাতে উদয়নের শেষ তিনটি বগি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনাস্থলেই বেশ কজন প্রাণ হারান, কয়েকজনের মৃত্যু হয় হাসপাতাল নেয়ার পথে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, উদয়ন লুপ লাইনে ঢোকার সময় ঢাকাগামী তুর্ণা নিশীথার মেইন লাইনে থেমে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু সিগন্যাল না মেনে তুর্ণা সচল থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

উদয়নের শেষ ৩টি কোচ ও তূর্ণার ইঞ্জিন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাকসাম থেকে ভোর সাড়ে চারটায় রিলিফ ট্রেন রওয়ানা করে। মোট দুটি রিলিফ ট্রেন উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর পরই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন ছুটে আসে। যতোদূর সম্ভব তারা উদ্ধারকাজ শুরু করে। এরপর উদ্ধার কাজে যোগ দেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও জেলা প্রশাসন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে,  ভোর ৬টার কিছু আগে ক্ষতিগ্রস্ত ৩টি কোচসহ পেছনের আরো ৩টি, মোট ৬টি কোচ রেখে বাকি কোচগুলো নিয়ে উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম রওয়ানা করেছে।