২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:০৩
শিরোনাম:

পরিবহন ধর্মঘট ১০ দিন চললেও চালের দাম বাড়বে না : খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

পরিবহন ধর্মঘট ১০ দিন চললেও ঢাকায় চালের দাম বাড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে চালের মূল্য বৃদ্ধি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আগামী ৭ দিনও যদি পরিবহন ধর্মঘট থাকে, ১০ দিনও যদি থাকে, বাবুবাজারে যে স্টক থাকে, বড় বড় বাজারে যে স্টক থাকে, ঢাকার বাজারে বিন্দুমাত্র কারণ (দাম বাড়ার) নেই। ৩-৪ দিন কেন, ১০ দিন বন্ধ থাকলেও প্রভাব পড়বে না গ্যারান্টি দিলাম, আমার সোজা কথা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে চালের মজুদের কোনও ঘাটতি নেই। মিল মালিক ও বাজার মনিটর করে দেখা গেছে, মজুদের কোনও ঘাটতি নেই, আমদানির কোনও প্রয়োজন নেই, রফতানি করার জন্য প্রস্তুত আছি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চালের দাম বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই, কেউ যদি বৃদ্ধির চেষ্টা করে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি, ভোক্তা অধিকারে চিঠি দিয়েছি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। যদি কেউ চালের দাম বাড়াতে চায়, তাহলে কোনোক্রমেই সহ্য করা হবে না, প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তিনি জানান, মোটা চাল ওএমএস ডিলাররা লোকসানের কারণে তুলতে পারছে না। কারণ রেট হচ্ছে ৩০ টাকা, সেই চাল বাজারে ২৬-২৭ টাকা। খুচরা বাজারে ৪-৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছে, যেটা সাধারণ ভোক্তাদের আতে ঘা লাগে, আমরা এটি ছাড় দেবো না, এটি চলতে দেওয়া হবে না। পাইকাররা কেজিতে ৫০ পয়সার বেশি লাভ করতে পারেন না, এটাও সহ্য করা হবে না। খুচরা বাজার আপনাদের কন্ট্রোল করতে হবে, মনিটরিং করতে হবে।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, চালের দাম আর বাড়বে না, এটি শপথ করতে হবে। সরকারিভাবে চাল-গম মিলে ১৪ লাখ ৫৯ হাজার মেট্রিক টন মজুদ আছে, যা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। সরকারি গোডাউনে ১১ লাখ ১২ হাজার ৬৭৪ টন চাল মজুদ আছে। দাম বাড়ালে ভোক্তা অধিকার আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাধন চন্দ্র বলেন, গত ৭ দিনে মিনিকেট প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বাড়ানো উচিত হয়নি। খুচরা বাজারে এটি হচ্ছে, চেষ্টা করবো দাম যেন আর না বাড়ে। প্রয়োজন মনে করলে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়েকে চিঠি দিয়েছি, মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো। সময় হলে দেবো আর কী কী ব্যবস্থা নেবো।