২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৯:০৮
শিরোনাম:

এক শিশুকে হত্যা ও ৩০ জনকে আহত করায়, ‘গণআদালতে’ বানরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

সিলেটের মৌলভীবাজারের বড়লেখায় লোকালয়ে তাণ্ডব চালিয়ে এক শিশুকে হত্যা ও ৩০ জনকে আহত করার অপরাধে গণআদালতে এক বানরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ওই বানর লোকালয়ে তাণ্ডব চালিয়ে এক শিশুকে হত্যা ও ৩০ জনকে আহত করে। পরে জনতার হাতে আটক হয় বানরটি।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ঘুমের ওষুধ মিশানো ভাত খাইয়ে দিনব্যাপী ধাওয়া করে বিকালে বানরকে ধরার পর উত্তেজিত জনতা আদালত বসিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।

জানা গেছে, পাথারিয়া পাহাড়ের দলছুট একটি বানর গত ২০ দিন আগে উপজেলার কাঁঠালতলী এলাকায় লোকালয়ে আসে। বানরটি কাঁঠালতলী, রুকনপুর, বড়খলা, দক্ষিণ মুছেগুল, উত্তরভাগসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে দাপিয়ে নানা তাণ্ডব চালায়। সুযোগ বুঝে সেটি নিরীহ পথচারীসহ শিশু শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাতে থাকে।

ওই বন্য বানরের হামলায় বড়খলা গ্রামের এক শিশুকন্যার মৃত্যু ঘটে। আহত হয় শিশু, মহিলাসহ অন্তত ৩০ ব্যক্তি। বানরের উপদ্রবে অতিষ্ঠ লোকজন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হলে তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হককে খবর দেন।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, প্রায় ২০ দিন ধরে ৬-৭ গ্রামের লোকজন ওই বানরের আক্রমণে আতঙ্কিত ছিলেন। এর হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে আরও ৩০ জন। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগে খবর দিলে রেঞ্জ কর্মকর্তা এনামুল হক কয়েকদিন আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু লোকালয় থেকে তাড়ানোর ব্যবস্থা না নিয়ে তিনি লোকজনকে বানরটিকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়ে যান।

খবর পেয়ে তিনি দুর্গন্ধে পরিবেশের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে জন্য একটি টিলায় মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।