পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) বাতিল, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারি ও কর্মকর্তাদের পিএফ গ্রাচ্যুইটির টাকা প্রদান, শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি নিয়মিত পরিশোধ, পাট মৌসুমে পাট ক্রয়ের অর্থ বরাদ্দসহ শ্রমিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সকালে খুলনার ৯টি পাটকলের মিলগেটে জড়ো হন শ্রমিকরা। এ সময়ে শ্রমিকরা তাদের পাওনা অবিলম্বে পরিশোধের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। মিছিলটি প্লাটিনাম জুটমিল গেট থেকে নতুন রাস্তার মোড়, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে আবারও স্ব স্ব মিলগেটে এসে শেষ হয়।
এসময় বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক সরদার আব্দুল হামিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক সাহানা শারমিন, সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের নেতা হুময়ন কবির খান, মুরাদ হোসেন, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ, বেল্লাল মল্লিক, আঃ মান্নান, কাউওসার আলী মৃধা, মোঃ হানিফ সহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, পাটকলগুলোর ১০ থেকে ১১ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া রয়েছে। এদিকে পে-কমিশন প্রদান এবং ৫টি সংস্থায় মজুরি কমিশন প্রদান করছে সরকার। শুধু পাটকল শ্রমিকদের মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন করছে না, ফলে শ্রমিকদের আন্দোলন করা ছাড়া আর কোন পথ নেই।
সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ঘোষিত অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ২৭ নভেম্বর বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মিল গেটে প্রতীকী অনশন, ২ ডিসেম্বর সোমবার ধর্মঘটের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল, ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত মিল ধর্মঘট এবং ওই দিন বিকেল ৪টায় স্ব স্ব মিল গেটে সভা, ৮ ডিসেম্বর রবিবার আমরণ অনশনের সমর্থনে সকল মিলে একযোগে গেট মিটিং এবং শপথ গ্রহণ, ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে শ্রমিকের পরিবার পরিজন নিয়ে স্ব স্ব মিল গেটে আমরণ গণঅনশন।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে পাটকলে শ্রমিকদের লাগাতার আন্দোলনে পাট মন্ত্রণালয় ও বিজেএমসি দ্রুততম সময়ের মধ্যে মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়। কিন্তু ওই দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকরা। তবে এবার রাজপথ-রেলপথ অবরোধের বদলে মিল গেটে কর্মসূচি রাখা হয়েছে।