২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:০০
শিরোনাম:

মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলনে থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী

আগামী ২৯ নভেম্বর মৎস্যজীবী লীগের জাতীয় সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এ সম্মেলন কৃষিবিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে। এখন চলছে শীর্ষ নেতৃত্ব পেতে নেতাদের দৌড়ঝাঁপ।

এ বিষয়ে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব শেখ আজগর নস্কর বলেন, গত ২০০৪ সালে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে সহ-সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্যজীবী লীগকে সহযোগী সংগঠনের স্বীকৃতি দেওয়ায় সারা দেশের নেতা-কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সম্মেলন সফল করতে কাজ করছে। সম্মেলন সফল করতে কেন্দ্রে ৮ টি উপকমিটি এবং সকল বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম প্রয়োজনীয় সকল কাজ শেষ করে এনেছে। এতে উপস্থিত হবেন প্রায় ২৫ হাজার কাউন্সিলর, ডেলিগেড ও অতিথি।

তিনি বলেন ২০০৪ সাল থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের জাতীয় কাউন্সিলে আমাকে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত করার পর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ২০১৭ সালে কাউন্সিল অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভাগীয় সাংগঠনিক টিম গঠন করে জেলা পর্যায়ে সফর শুরু করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ফলে ৬৮ টি সাংগঠনিক জেলায় আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় পূর্নাঙ্গ এবং বাকি জেলাগুলোতে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশের অধিকাংশ উপজেলা/ পৌর কমিটি গঠিত হয়েছে।

২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তৎকালীন কমিটির সভাপতি ও প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে হবায়ক এবং আমাকে সহ ৫ জনকে যুগ্ম আহবায়ক ” করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি – ২০১৭ ” অনুমোদন করেন। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতায় ঘোষিত সময় সম্মেলন করা অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা ও সংগঠনটি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। ২০১৯ সালে পূনঃরায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি পূনগঠন করে আমাকে সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেন। এতে স্থবির সংগঠনটিতে আবার গতি ফিরে আসে। আমরা যথাসময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করলে তিনি ২৯ নভেম্বর ১০ টা কৃষিবিদ মিলনায়তন ঢাকায় সম্মেলন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন।

সংগঠনটির আর্থিক সংকট থাকলেও আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে সুদীর্ঘ ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন- সংগ্রাম, বিশেষত ১/১১ এর দূঃসময় নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনেে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করি। এসময় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়, হামলা মামলার স্বীকার হয়ে গোপন স্হান থেকে সব আন্দোলনে ভুমিকা রাখেন। দূঃসময় কর্মীদের অনেকেই আর্থিক সহায়তা দিতে হয়েছে। জেলায় সাংগঠনিক সফর, অফিস ভাড়া, টেলিফোন বিল, অন্যান্য খরচ আমরা নিজেরাই বহন করেছি। তবে প্রধানমন্ত্রী মৎস্যজীবী লীগকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন করায় আমরা কৃতজ্ঞ জানাই।

আজগার বলেন, সংগঠনের জন্ম থেকে এখানে কাজ করছি, অন্য সংগঠনে যাওয়ার সুযোগ ছিলো – দূঃসময় নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাইনি। আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা। বাবার রক্তের উত্তারাধিকার হয়ে স্কুল জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে জিয়া-এরশাদ, খালেদা জিয়া বিরোধী আন্দোলনেে নেতৃত্ব দিয়েছি। খালেদা জিয়ার মা তৈয়বা বেগম বাদী হয়ে আমিসহ অনেক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। আমরা মোকাবেলা করেছি, কখনো আদর্শের সঙ্গে আপোষ করিনি,। নিজের প্রচেষ্টায় ব্যবসায় সফলতা লাভ করেছি। তাই নেত্রী আমাকে আগামী দিনে দায়িত্ব দিলে আস্হা ও বিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করবো। আমরা নেত্রীর সিদ্বান্ত মেনেই সবাই সংগঠন করি।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, সংগঠনটিকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য সংগঠনের বাইরে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তৎকালীন মৎস্য প্রতিমন্ত্রীকে এনে আমরা ২০১৬ সালে সভাপতির হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু নেতাকর্মীদের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। বরং সংগঠনের পুরনো পরীক্ষিত, মেধাবী নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করা হয়েছে। এতে সম্মতি না থাকায় সাধারণ সম্পাদক বাশার, বিদায়ী সভাপতি সাঈদসহ ১৫/২০ জন সিনিয়র নেতাকে লাঞ্ছিত করা হয়।

এবিষয়ে সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, আমার জীবনে নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মতো দুষ্ট লোক দেখিনি। তিনি সিস্টের দমন-দুষ্টের পালন নীতিতে বিশ্বাসী লোক। ভিন্নমত দমনে তিনি পারদর্শী।