২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১২:২১
শিরোনাম:

খালেদা জিয়া মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহবান জাফরুল্লাহ চৌধুরীর

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা দলের নেতাকর্মীদের চাপের মুখে পড়েছেন। এর ফলে আন্দোলনের আবহ তৈরি চেষ্টা করছেন তারা। জানা গেছে, এখন থেকে কোনো সভা সমাবেশ অবস্থান মিছিল মিটিংয়ের অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করে বরং নিজস্ব শক্তি নিয়ে রাজপথে নামার পরিকল্পনা নিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। এরই প্রতিফলন হিসেবে মঙ্গলবার খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হাইকোর্টের সামেন অবস্থান নেয় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম দলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে পৃুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সকল নেতাকর্মী ও জনসাধারণকে রাজপথে থাকার আহবান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ন্যায়-নীতির দিক থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে ততক্ষণ পর্যন্ত চলুন রাজপথে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলি। চলুন একযোগে রাজপথে নামি। তিনি বলেন, বিচারপতিরা অনেক আগেই সাহস হারিয়ে ফেলেছেন। দেশকে শোধরানোর দায়িত্ব শুধু বিচারপতিদের হাতে দিলে হবে না। কারণ উনারা উনাদের বিবেক অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছেন। ৫ জন বিচারপতিও একসাথে বসে বলতে পারলেন না মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন অনেক আগেই দেওয়ার উচিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিচারপতিদের এই সাহস জোগানোর জন্য আমাদের একটাই কাজ করতে হবে। আমাদের সবাইকে রাজপথে হাজির হতে হবে। রাজপথে হাজির হয়ে হাইকোর্টের চতুর্দিকে দাঁড়িয়ে বলতে হবে- মানবিক কারণেই হোক আর যে কারণেই হোক বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। তাহলেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কিছু কর্মসূচি আছে যেগুলোতে অনুমতি দেওয়া নেওয়ার কোনো প্রশ্ন আসে না। আমি হরতাল, অবরোধ বা বিক্ষোভ করবো সেগুলোর কি অনুমতি নিয়ে করবো। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে আমরা সবাই বুঝেছি, উপলদ্ধি করছি আন্দোলন ছাড়া মুক্তির উপায় নেই। দেশের মানুশ সারা বিশ্ব দেখেছে ৩০ ডিসেম্বরের ভোট কিভাবে হয়েছে। তাদের ঘুরে দাড়নোর জন্য এখন আন্দোলনের আবহ তৈরির কাজ চলছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নেতাকর্মীর বহু কষ্ট শিকার করছেন, জেল জুলুম নির্যাতন নিপিড়ণ, হত্যা গুম এমন কোনো কিছু নেই যা এই সরকার করেনি। এখন এগুলোর প্রতিবাদ হওয়া দরকার। তিনি বলেন, আন্দোলন কোনো দিনক্ষণ বেঁধে দিয়ে হয় না। আন্দোলন হচ্ছে এবং হবে।