রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বুধবার (২৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘এদেশে আইএস’র কোনো অস্তিত্ব নেই। জঙ্গিরা বিক্ষিপ্তভাবে পরিকল্পনা করে এ হামলা চালিয়েছে। দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেতে তারা এটি চালিয়েছে।’
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তষ্ট। এ রায় কার্যকর হলে ভবিষ্যতে কেউ এরকম নৃশংস কাজ করার সাহস পাবে না।এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আসামিরা চাইলে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবে। এ সুযোগ তাদের রয়েছে।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আলোচিত গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা মামলায় আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। বেকসুর খালাস পেয়েছেন একজন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ। খালাস পেয়েছেন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান।
দেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস এ হামলায় ৯ জন ইতালীয়, ৭ জন জাপানি, একজন ভারতীয়, একজন বাংলাদেশি-আমেরিকান দ্বৈত নাগরিক ও দু’জন বাংলাদেশিসহ মোট ২০ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ছোড়া গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ হারান বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার রবিউল ইসলাম।