২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৯:২২
শিরোনাম:

ডাকসুর ভিপি পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন নুর : ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, ডাকসু ভিপির পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন নুর। বুধবার দুপুরে ডাকসু ভবনের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হকের নুরের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের একাংশ। ডাকসু ভবনের সামনে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে শেষে ভিপি নুরের কক্ষে তালা দেয়া হয় এবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এছাড়া মানববন্ধনে নুরের পদত্যাগ দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেধে দেয়া হয়।

এসময় বক্তারা বলেন, ডাকসুর ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নুরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ডাকসু থেকে বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় ভিসিকে স্মারকলিপি দেয়া হবে বলে জানান তারা।

এর আগে নুরের ফাঁস হয় টেলিফোন কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ। যেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়।অডিওতে শোনা গেছে, ভিপি নুর এক প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে তদবির এবং প্রবাসী এক বাংলাদেশির সঙ্গে টেলিফোনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে কথা বলছেন। ভিপি নূরের সঙ্গে কথোপকথনে প্রবাসী ওই বাংলাদেশি বলেন, ‘আমি কিছু টাকা-পয়সা উঠিয়ে পাঠাতে চাচ্ছি। আমি জানি, তোমাদের খুব টাকা-পয়সার দরকার।’

এ সময় ভিপি নূর বলেন, ‘এই মানে যতটুকু সৎ থাকা যায় চেষ্টা করছি।’ তখন ওই প্রবাসী টাকা পাঠানোর জন্য ভিপি নূরের কাছে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য চান। এরপর ভিপি নূর বলেন, ‘আপনি বলছেন, ঠিক আছে-খুশি হয়েছি।’ এ সময় হোয়াটসঅ্যাপে কল দিচ্ছি বলেও জানান ওই প্রবাসী।

এর আগে অডিও ক্লিপের শুরুতে এক প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে তদবির করতে শোনা যায় ভিপি নূরকে। অডিও ফাঁস প্রসঙ্গে গতকাল নুরুল হক নুরু তার ফেসবুক পেজে এসে বলেন, “আমাদের কে হেয় করার জন্য ফোন আলাপের আংশিক অংশ সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করা হয়েছে। যাতে মানুষের মনে একটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়”