২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৪:১৩
শিরোনাম:

জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু বিপিএল’, আমন্ত্রণ না পেয়ে হতাশ সাবেক অধিনায়করা

আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে আয়োজিত হচ্ছে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। জমকালো আয়োজন দিয়ে আজ বিকাল ৫টায় পর্দা উঠবে এবারের বিপিএলের।

উদ্বোধনী এই অনুষ্ঠানে বসবে দেশি-বিদেশি তারকাদের মেলা। দুই পর্বে মঞ্চ মাতাবেন দেশি ও বিদেশি তারকারা। এর মাঝে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিপিএলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে-পরে থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক বিষয়।

তবে পরিতাপের বিষয় হলো, এ অনুষ্ঠানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেয়া হয়নি দেশের ক্রিকেটের সাবেক কোনো অধিনায়ক বা তারকা ক্রিকেটারদের। তাদের কেউ যদি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসতে চান, তাহলে অন্যান্য সাধারণ দর্শকদের মতো টিকিট কেটেই ঢুকতে হবে মাঠে।

অথচ সাবেক অধিনায়করা দাওয়াত না পেলেও, ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্য ও কাউন্সিলরদের ঠিকই পাঠানো হয়েছে আমন্ত্রণপত্র। অনেককেই আবার দেয়া হয়েছে সৌজন্য টিকিট। কিন্তু সাবেক খেলোয়াড় বা অধিনায়কদের জন্য নেয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ।

যা দেখে বেশ মনঃকষ্টই পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শফিকুল হক হীরা। আয়োজকদের এমন খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ মেনে নিতে কষ্টই হচ্ছে তার। শফিকুল হক হীরা শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নন, জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবেও ছিলেন অন্যতম সফল।

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আজ সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজন। কিন্তু এটা দেখে অবাক হলাম যে, বিপিএলের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য অধিনায়কদের দাওয়াত দেয়া হয়নি। অথচ বোর্ড মেম্বার, কাউন্সিলররা ঠিকই আমন্ত্রণ পেয়েছে। এটা খুবই দুঃখের যে সাবেক অধিনায়কদের চেয়ে বোর্ড কাউন্সিলরদের গুরুত্ব বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং জাতীয় পুরস্কার বিজয়ীর জন্য এটা অপমানজনক। বিসিবি কারও সাথে যোগাযোগই করেনি। দেশের জন্য সুনাম অর্জনের লক্ষ্যে আমরা ক্রিকেট খেলেছিলাম, বোর্ড মেম্বার বা কাউন্সিলররা নয়। অথচ এর বিপরীতে আমরা এমন প্রতিদান পাচ্ছি। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হয়তো এ বিষয়ে কিছু জানেও না। এটা সত্যিই অপমানজনক।’