৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:১২
শিরোনাম:

ভিপি নুরের পদত্যাগ চায় ছাত্রলীগের ২৩ নেতা

একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের পদত্যাগ চায় ডাকসুতে নির্বাচিত ছাত্রলীগের ২৩ নেতা।

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানায়।

এসময় ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে গোলাম রাব্বানী বলেন, ডাকসুর সর্বোচ্চ পদকে বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করেছেন ভিপি নুর। আমরা ডাকসু পরিবার এই দায়ভার নেবো না। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে পদ থেকে নুর যেন পদত্যাগ করে সেই দাবি আমরা জানাচ্ছি। ঘটনার তদন্ত করে ভিপি নুরুল হক নুরকে বহিষ্কার করা হোক।

ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রথমে কথা বলেন ডাকসু এজিএস সাদ্দাম হোসেন। এরপর লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়। সেখানে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ১৩ কোটি টাকার টেন্ডারবাজির অভিযোগ আনা হয়।

ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসু নেতারা বলেন: নির্বাচনের পর তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো কাজই করেননি। এর মধ্যে তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কারণে ওই পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এরপরও পদত্যাগ না করলে তাকে ভিপি পদ থেকে বহিস্কার করা হোক।

এসময় ভিপি নুরের আর্থিক লেনদেন তদন্ত করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে আবেদন করেন ডাকসু সদস্যরা।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়, ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে নুরুকে জনৈক এক প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে তদবির করতে শোনা গেছে। এছাড়া প্রবাসে এক বাংলাদেশির সঙ্গে টেলিফোনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে শোনা গেছে। এখানে ডাকসু ভিপি তার আত্মীয়র একটি প্রকল্প নিয়ে এক প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে শোনা যায়। একই অডিওতে একজন প্রবাসী বাংলাদেশির কাছ থেকে টাকা চাওয়ার কথা শোনা গেছে।

ফোনালাপ নিয়ে প্রচারিত সংবাদে নুরের অডিও ক্লিপটি যে তার, সেটা তিনি স্বীকার করেছেন। ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপ প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘আমার একটি ফোনালাপ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আমার পুরোপুরি কথা না শুনিয়ে কিছু অংশ কেটে প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকদের নৈতিকতার সাথে যায় না। আমি এর বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদলিপি ও উকিল নোটিশ পাঠাব।