১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৬
শিরোনাম:

‘কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা দেশেই সম্ভব’

কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া এলাকায় ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের চিকিৎসা দেশেই সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।

ওই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের দেখতে রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে যান তিনি।

এসময় আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আহতরা খুবই গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের চিকিৎসায় সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রীও সবসময় তাদের খোঁজখবর রাখছেন।

তিনি বলেন, আহতদের বিনামূল্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কারো কোনো খরচ করতে হচ্ছে না। তাদের জীবন বাঁচানোই এখন মূল লক্ষ্য। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে যে ছয়জন ভর্তি রয়েছেন, তাদের অবস্থা খুবই গুরুতর। তাদের অন্যত্র সরানোর কোনো অবস্থাও নেই। আমি মনে করি, দেশেই তাদের চিকিৎসা সম্ভব।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, কারখানার অগ্নিকাণ্ডে ৩১ জন দগ্ধ রোগী এখানে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে এখন ছয়জন এ ইনস্টিটিউটে রয়েছেন। ছয়জনই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন। এছাড়া, আটজন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনার সময় শ্রমিকরা কাজ করছিলেন। তখন হঠাৎই গ্যাস রুম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

শ্রমিকরা পানি ও কারখানায় থাকা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলে তখনই তারা দগ্ধ হন। অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জাকির হোসেন (২২) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রায় ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এখন পর্যন্ত আহতদের মধ্য থেকে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।