২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:২৪
শিরোনাম:

রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় : বিএনপি নেতা রিজভী

প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় দেখা যায়, অধিকাংশই আওয়ামী লীগের চিহ্নিত নেতা কর্মী। এতে জনগণ বিস্মিত নয়, কারণ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিলেন কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। প্রকাশিত তালিকায় প্রমাণিত হয়েছে, জনগণের সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা সঠিক নয় বলে সমালোচনা করছেন আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন তালিকায় বেশী ভুল প্রমাণিত হলে তা প্রত্যাহার করা হবে। এ মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের থলের বিড়াল বের হতে শুরু হওয়ায় তা প্রত্যাহারের প্রশ্ন ওঠছে। প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় আওয়ামী লীগের চেহারা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তারা এখন নিজেরাই কুতর্কে লিপ্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের দোষ আর মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপর দায় চাপাচ্ছে। যেই মন্ত্রণালয়ের দায়ী থাকুক, আওয়ামী লীগ মূলত স্বাধীনতার মূল স্পিরিটের বিরোধী।

রিজভী বলেন, নিশিরাতের এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবকে নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে ব্যবহার করতে গিয়ে নানা রকম অঘটনের জন্ম দিয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারো কারো বিচার হয়েছে। আবার কেউ কেউ আত্মীয়তার বন্ধনের কারনে দিব্যি বহাল তবিয়তে আছেন।

তিনি বলেন, সর্বগ্রাসী দখল এবং কূটকৌশলে অবৈধ ক্ষমতা নিরাপদ করার জন্য এখন দেশকে নানাভাবে বিভাজন ও বিভ্রান্তির কুয়াশায় ঢাকতে চাচ্ছে এই সরকার। ৭১ এর পাকিস্তানি শাসকরা জনগণের ম্যান্ডেটকে স্বীকার করেনি, গণতন্ত্র হত্যা করে, নারী নির্যাতনসহ পাইকারী হারে বাংলাদেশের জনগণকে হত্যা করে ঠিক তেমনিভাবে আওয়ামী লীগের হাতে বারবার গণতন্ত্র হত্যা হয়ে একদল কায়েম হয়েছে, নারী ও শিশু নির্যাতনের মহাসমারোহ চলছে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্বিচারে হত্যা, ঘুম ও খুন অব্যাহত রয়েছে। এই সরকারের পতন ছাড়া দেশের বিরাজমান গুমোট অবস্থা দুর হবে না।