১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৪৪
শিরোনাম:

সতীর্থদের এমন আচরণে ‘নীরবে কেঁদেছেন’ মাশরাফি

গত অক্টোবরে নিজেদের বেতন-ভাতাসহ বিভিন্ন দাবিতে এক হয় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যেখানে অন্য সবাইকে মোটামুটি দেখা গেলেও ছিলেন না মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। এ নিয়ে অনেকে প্রশ্নও তোলেন। যদিও পরে মাশরাফি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্বতাও প্রকাশ করেন।

তবে সতীর্থদের একটা আচরণ কিছুতেই মানতে পারেননি মাশরাফি। যাদের সঙ্গে ২০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন, বিপদে-আপদে যাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন নেতার মতো, সেই তারাই জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়কের ওপর ভরসা রাখতে পারেননি। আন্দোলনে ডাকা দূরের কথা, জানানোরও প্রয়োজন মনে করেননি। মাশরাফিকে যেন দূরেই ঠেলে দিলেন তারা।

যে কষ্টটা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন মাশরাফি। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দৈনিক সমকালের সঙ্গে বললেন সেই দুঃখের কথা, ‘আমি তো ক্রিকেটার থেকেই সাংসদ হয়েছি। আমি তো ক্রিকেটের মাশরাফি। ক্রিকেটারদের মাশরাফি।’

উল্লেখ্য, ক্রিকেটাররা না ডাকলেও তাদের আন্দোলনের প্রতি সম্মান রেখে ওই সময় নিজের ফেসবুক পেজে বড় করেই একটা স্ট্যাটাস দেন মাশরাফি।

যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন করছেন যে, দেশের ক্রিকেটের এমন একটি দিনে আমি কেন উপস্থিত ছিলাম না। আমার মনে হয়, প্রশ্নটি আমাকে না করে, ওদেরকে করাই শ্রেয়। এই উদ্যোগ সম্পর্কে আমি একদমই অবগত ছিলাম না। নিশ্চয়ই বেশ কিছু দিন ধরেই এটি নিয়ে ওদের আলোচনা ছিল, প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু এ সম্পর্কে আমার কোনো ধারণাই ছিল না।

সংবাদ সম্মেলন দেখে আমি ওদের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে পেরেছি। ক্রিকেটারদের নানা দাবির সঙ্গে আমি আগেও একাত্ম ছিলাম, এখনও আছি। আজকের পদক্ষেপ সম্পর্কে আগে থেকে জানতে পারলে অবশ্যই আমি থাকতাম।

মিডিয়ায় ওদের খবর দেখার পর থেকে হাজারবার আমার মাথায় এই প্রশ্ন এসেছে, যে কেন আমাকে জানানো হলো না। অনেকে আমার কাছে জানতেও চেয়েছেন। কিন্তু আমি নিজেও জানি না, কেন জানানো হয়নি।’

তবে আমার উপস্থিত থাকা কিংবা না থাকার চেয়ে, ১১ দফা দাবি বাস্তবায়িত হওয়াই বড় কথা। সবকটি দাবিই ন্যায্য, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের মঙ্গলের জন্য জরুরী। আমি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, ১১ দফা দাবি শান্তিপূর্ণ ভাবে বাস্তবায়িত হওয়ার পক্ষে আছি, থাকব।’