২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৩:২৮
শিরোনাম:

ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় একজন ধর্ষককে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১।গাজীপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুর দেড়টায় কাওরান বাজার র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) ঢাবি’র ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন এক তরুণ সনাক্ত ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে র‌্যাব।

৩ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ হয় কিন্তু র‌্যাবের পক্ষ থেকে এ কতজনকে আটক করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

সূত্র বলছে,  গতকাল মঙ্গলবার রাতভর অভিযানের পর ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তির ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য গতকাল মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, ধর্ষণকারীর বিষয়ে ছাত্রীর দেয়া বিবরণ এবং ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে একাধিক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে তারা শনাক্ত করেছেন। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারিতে আছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী শেওড়ায় বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার পথে রোববার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে নেমে ধর্ষিত হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পরপরই তিনি আক্রান্ত হন। মুখ চেপে ধরে তাকে তুলে সড়কের পাশে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর চেতনা ফিরে পেয়ে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যান। রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। পরদিন ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তার বাবা।

ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা।

কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে সোমবার দুপুরে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি।কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে সোমবার দুপুরে আলামত সংগ্রহ করে সিআইডি।ঘটনার বিবরণে মামলায় বলা হয়, ওই ছাত্রী বাস থেকে নেমে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে ধর্ষক যুবক পেছন দিক থেকে তার গলা ধরে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দিয়ে গলা চেপে ধরে। এ সময় ওই শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করে। পরে জ্ঞান ফিরলে ওই ছাত্রীকে মারধর করে ভয়ভীতি দেখায়। এ সময় তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে।

“ধর্ষক পরে শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন, হাত ঘড়ি, একটি ব্যাগ, নগদ দুই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।”

এদিকে সহপাঠী ধর্ষিত হওয়ার খবর প্রকাশের পর রোববার রাত থেকে ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিন বিক্ষোভ, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা প্রতিবাদী কর্মসূচিতে দিনভর উত্তাল ছিলো ক্যাম্পাস।

ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন আছেন।