২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:১৭
শিরোনাম:

প্রকৌশল দপ্তরের নজরদারির অভাবশরণখোলায় এডিপি’র অর্থহরিলুট!

নইন আবু নাঈম, বাগেরহাট প্রতিনিধি ঃ উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তেমন তদারকরি না
থাকায় বাগেরহাটের শরণখোলায় বার্ষিক উন্নয়ন তহবিল  (এডিপি’র) ভিবিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারি অর্থ
হরিলুটের ঘটনা ঘটেছে। সঠিক ভাবে কাজ না করে অধিকাংশ প্রকল্পের টাকা নানা ভাবে লোপাট করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা কোন কোন এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ঠিকাদার নাম মাত্র কাজ করেই সমাপ্ত করছেন প্রকল্প । অভিযোগ রয়েছে, তদারকির দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্তা ব্যক্তিদের যোগসাজোসে উন্নয়ন তহবিলের লাখ লাখ টাকা প্রতি বছর লুটপাট হচ্ছে। যার ফলে উন্নয়ন মুখী সরকারের বদনাম হওয়ার পাশাপাশি সুফল বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয় জনসাধারণ।

জানাগেছে, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে শরণখোলা উপজেলার ৪টি  ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বার্ষিক উন্নয়ন কমূসূচীর আওতায়
৩০টি প্যাকেজে বহু প্রকল্পের অনুকুলে ৯৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, রায়েন্দা ইউনিয়নে রায়েন্দা মহিলা মাদ্রাসায় লাখ টাকা ব্যায়ে রাস্থা নির্মান , খোন্তাকাটা ইউনিয়নে উত্তর খোন্তাকাটা সরোয়ার মুন্সী বাড়ী সংলগ্ন এলাকায় ২ লাখ টাকা ব্যায়ে পুল নির্মান , মালেক সর্দার বাড়ীর রাস্থা ইট সলিং ও মালেকের বাড়ী পযুন্তু ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে রাস্থা পাকা করন , ২লাখ টাকায় গুচ্ছ গ্রামের পুল নির্মান, ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে আমতলী-খোন্তাকাটা ও আমতলা ওয়াপদার রাস্থা সলিং, মধ্য খোন্তাকাটা শ্যামের বাড়ী প্রকল্প সহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু প্রকল্পের দৃশ্যমান কোন চিত্র দেখা যায়নি। খোন্তাকাটার একাধিক প্রকল্পের সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য মিসেস রোকেয়া খাতুন বলেন, ওই সকল প্রকল্পে আমাকে সভাপতি দেখানো হলেও আমি এর কিছুই জানিনা । এছাড়া উপজেলার সাউথখালী ও খোন্তাকাটা
ইউনিয়নে ৪ লাখ টাকা ব্যায়ে দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরন প্রকল্পের কোন হদিস পাওয়া যায়নি । তবে, প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ডালিম বলেন, সেলাই মেশিন কোথায় বিতরন হয়েছে তার সঠিক তালিকা আমার কাছে নেই ।

তবে , প্রকল্পটি উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বলে আমি অবগত আছি। অন্যদিকে ,তাফাল বাড়ী সর্দার বড়ীর ২লাখ টাকা ব্যায়ে পুকুর ঘাট নির্মান ,ধান সাগরের রশিদ তালুকদার বাড়ীর সামনে ২লাখ টাকা ব্যায়ে পুল নির্মান সহ অধিকাংশ প্রকল্পের ছিটেফোটা কাজ করে সরকারি অর্থ আতœসাত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে, উপজেলার কয়েকজন সমাজ সেবক বলেন, গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সঠিক ভাবে বাস্থবায়িত হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের পাশাপাশি উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছে। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরা উদাসীন থাকায় ঠিকাদাররা নাম মাত্র কাজ করেই (এডিপি ও এলজিএসপির ) নানা প্রকল্পের সরকারি অর্থ বছরের পর বছর ধরে লোপাট করছেন ঠিকাদাররা এবং দিন দিন অনিয়ম দুর্নীতি বৃদ্দির কারনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে না করতেই তা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে উন্নয়নের সুফল সবার কাছে পৌছে দেয়ার সরকারের যে অঙ্গীকার তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না ।

তাদের মতে, প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারলেই সুফল পৌঁছাবে জনগণের দোর গোড়ায়। এ ব্যাপারে উপজেলা সদর রায়েন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে
নিয়মনীতি উপেক্ষা করার পাশাপশি প্রকৌশল বিভাগের নজরদারীর অভাব থাকায় অর্থ লোপাটের ঘটনা ঘটছে । এসব ক্ষেত্রে জন প্রতিনিধিদের মতামতকে মূল্যায়ন করলে দূর্নীতি কমবে । তবে , নবাগত উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আজিজুর রহমান, জানান , ওই প্রকল্প গুলো বাস্থবায়নের সময় আমি দ্বায়িত্বে ছিলাম না । সুতারং খোঁজ খবর না নিয়ে কিছুই বলা যাচ্ছে না । ##