২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:৫৮
শিরোনাম:

ভুয়া নিয়োগে দেড়কোটি টাকাহাতিয়ে নিয়েছেপ্রতারক চক্র!

নইন আবু নাঈম, শরনখোলা প্রতিনিধি ঃ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের সাক্ষরিত ভুয়া নিয়োগ পত্র দিয়ে
বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা সহ তিন জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৫০ জন বেকার যুবকের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র । চাকুরী ও লুন্ঠিত অর্থ কোনটাই না পেয়ে এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রতারনার শিকার ওই যুবকরা । তবে,অর্থ উদ্বারের জন্য ক্ষতি গ্রস্থদের পক্ষে বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার গোলবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ মিলন হাওলাদার বাদি হয়ে চলতি বছরের ৯, জানুয়ারী, ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্দে শরনখোলা থানায় একটি অভিযোগ দ্বায়ের করেছেন । এছাড়া অপর একজনএকটি(জিড়ি) সাধারন ডায়েরী করেছেন ।

লিখিত অভিযোগে জানাযায়, বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ সিকু কাজীর ছেলে কাজী কামরুল ইসলাম নেতৃত্বে একই এলাকার আহম্মেদ মেল্লার ছেলে এমদাদুল হক মিলন, নুরুজামানের পুত্র মোঃ মিলন, খুলনার সোনাড়াঙ্গা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাই পাটোয়ারীর ছেলে আলী আজগর খোকন ,বয়রা এলাকার শাহ-আলমের ছেলে  সাইফুল ইসলাম সজিব সহ ৫/৬ ব্যাক্তি নিজেদের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ২০১৩ সালে শিক্ষা দপ্তরের (ওএমজি- ৯৪জিএ/২০১১/৬৬৭৫ নং) স্বারকে প্রকাশিত একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অনুকুলে উচ্চমান সহকারি ,অফিস সহকারী ও এমএলএসএস সহ বিভিন্ন পদে ৩৫০ জন লোক নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখান এবং তার জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে ৩ লাখ টাকা করে ঘুষ দিতে হবে বলে চুক্তি করেন । সেই অনুসারে ২০১৩ সালে মিলন,সাইফুল,মনির ,বেল্লাল, মাসুদা ,মলয় ,হাফিজা ,শিমুল,সাহানা ,শমিষ্টা ও রাফুজা সহ বাগেরহাট,খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বহু প্রার্থীর কাছ থেকে তাদের জীবন বৃত্তান্ত সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র গ্রহন করেন । পরবর্তীতে, ২০১৮ সালে আবেদন কারীদের সকলকে মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের স্বাক্ষরিত নিয়োগ পত্র দেন এবং ২০১৯ সালের ৭,জানুয়ারীর মধ্যে তাদেরকে- স্ব-স্ব কর্মস্থলে যোগদান

করতে বলে ১৫০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা নেয়। ওই চক্রের কথা অনুযায়ী প্রাথীরা তাদের নিজ নিজ কর্ম এলাকায় যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারেন উক্ত নিয়োগ পত্র গুলো সম্পুর্ন ভুয়া । তাদের এমন প্রতারনার ফাঁদে পড়ে, নিঃস্ব হন শরনখোলা,রামপাল,ফকিরহাট ,বাগেরহাট ,খুলনা সদর , বটিয়া ঘাটা ,ডুমুরিয়া ,ফুলতলা ,সাতক্ষীরা,শ্যাম নগর ,তালা ,সহ তিন জেলার বিভিন্ন এলাকার দেড়শ যুবক । পরে প্রতারিতরা কর্মকর্তা পরিচয়দান কারি মেল্লাহাটের কামরুল সহ অন্যদের নিকট টাকা ফেরত চাইলে তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি সহ এক বড় ভাই এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত রয়েছে বলে নানাবিধ ভয়-ভিতী দেখান । এছাড়া বিষয়টি নিয়ে বাড়া বাড়ি করলে প্রাঁনে মেরে ফেলারও হুমকি দেন । এ ব্যাপারে জানতে অর্থ হাতানো দলের প্রধান কাজী কামরুল ইসলামের ০১৭৪৩২০৫০০৬ নং মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিপ করেননি । তবে, তাদের সহযোগী সাইফুল ইসলাম সজিব মুঠোফোনে জানান , আমি কোন অর্থ হাতাইনি। সম্পুর্ন টাকা পয়সা নিয়েছে খোকন ও কামরুল । আমি এক সময় কামরুলের বেতনভুক্ত কর্মচারি ছিলাম । মোতালেব নামের একজনের কাছ থেকে কয়েকবার টাকা এনে তাদেরকে দিয়েছি । হয়তো বা সেই কারনে অভিযোগে আমার নাম অন্তর ভুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে শরনখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)এস .কে. আব্দুল্লাহ- আল সাইদ বলেন, এ ঘটনায় ওই চক্রের বিরুদ্বে একটি জিড়িও রেকড় করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।