১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ১:২৭
শিরোনাম:

সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ মাছ শিকার,বাগেরহাটকারাগারে আটক রয়েছে ১৪১ ভারতীয় জেলে

নইন আবু নাঈম বাগেরহাট ঃ বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে আটক ২৬ ভারতীয় জেলেকে রবিবার বিকালে আদারতের নির্দেশে বাগেরহাট কারাগাওে পাঠানো হয়েছে। শনিবার বিকালে মোংলা বন্দররে অদূরে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে ফয়োরওয়ে বয়া এলাকা থেকে এসব ভারতীয় জেলেদের আটক করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার সন্ধ্যায় নৌবাহিনী আটককৃত ভারতীয় জেলেদের মোংলা থানায় হস্তন্তর করলে রবিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এনিয়ে বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে ৬ দফায় আটক ১৪১ জন ভারতীয় জেলে এখন বাগেরহাট কারাগারে আটক রয়েছে।

মোংলা থানার এস আই মো. আহাদ জানান, শনিবার বিকালে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আন্তর্জাতিক সীমানা আইন লঙ্গন করে সুন্দরবন উপকূলে ফয়োরওয়ে বয়া এলাকায় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ টহল দেয়ার সময় এফবি শঙ্খ প্রদীপ ও এফবি মা মঙ্গল নামে দুটি ফিশিং ট্রলারকে মাছ ধরতে দেখে ট্রলারসহ ২৬ ভারতীয় জেলেকে আটক করে। সন্ধ্যায় নৌবাহিনীর বিএনএস মোংলা নৌঘাঁটির চীফ পেটি অফিসার মো. ইমান আলী বাদী হয়ে ভারতীয় জেলেদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও আন্তর্জাতিক সমদ্র আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটককৃত ভারতীয় ২৬ জেলেকে রবিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে
পাঠানো হয়। আদালতের বিচারক এসব ভারতীয় জেলেদের বাগেরহাট কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিকালে তাদেও করাগাওে পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে ৬ দফায় বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে আটক ১৪১ ভারতীয় জেলে বর্তমানে বাগেরহাট কারাগারে আটক আছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বঙ্গোপসাগরে সুন্দরবন উপকূলে বাংলাদেশ সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অপরাধে গত ২ অক্টোবর প্রথম দফায় একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৫ ভারতীয় জেলে আটক হয়, এরপর ৪ অক্টোবর দুইটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৩ জন, ২২ অক্টোবর একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৪ জন, ৪ নভেম্বর চারটি ফিশিং ট্রলারসহ ৪৯ জন, ১০ ডিসেম্বর একটি ফিশিং ট্রলারসহ ১৪ জন, সর্বশেষ শনিবার ১৮
জানুয়ারী দুইটি ফিশিং ট্রলারসহ ২৬ জন ভারতীয় জেলে আটক হয়।