৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:০৩
শিরোনাম:

কৃষকরাই বর্তমানে সবচেয়ে বেশি অবহেলিত : জি এম কাদের

কৃষি মৌসুমে শ্রমিকদের মজুরির চেয়ে ধানের দাম কমে যায়। তখন কৃষকরা ধান কাটতে বিপাকে পড়েন। এসময় সরকার কৃষি ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিলেও প্রকৃত কৃষকরা তা পায় না। শনিবার রাজধানীর হোটেল সেভেন্টি ওয়ান মিলনায়তনে জাতীয় কৃষক পার্টির ৩৪তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী ও নব-গঠিত নির্বাহী কমিটির পরিচিতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সংসদের বিরোধী উপনেতা জি এম কাদের এমপি এবস বলেছেন।

তিনি আরো বলেন, সরকারি ভর্তুকি পেতে চাইলে রাজনৈতি নেতা-কর্মীদের হাতে লাঞ্ছনার শিকার হয় কৃষক সমাজ। তাই অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কৃষকদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে কৃষি ও কৃষকদের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। কৃষি ঋণ মওকূফ, পল্লী রেশনিং, ন্যায্য মূল্যে কৃষি পণ্য বিক্রির ব্যবস্থা, পল্লী বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা এবং পল্লী অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করে কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।

এছাড়া কৃষকদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ণে উপজেলা পরিষদ ব্যবস্থা প্রবর্তণ করে অসাধারণ কৃতিত্ব গড়েছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কৃষকদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে হাসপাতাল নির্মাণ করেছিলেন। তাই কৃষকদের সংগঠিত করে তাদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করতে পার্টিও নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেন। স্বাধীনতার পরে কৃষি জমি কমেছে কিন্তু কৃষি উৎপাদন বেড়েছে তিনগুন। তাই কৃষকদের স্বার্থই দেশের স্বার্থ।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় কৃষক পার্টির সভাপতি সাহিদুর রহমান টেপা’র সভাপতিত্বে জাতীয় কৃষক পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পরিচিতি সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, ভাইস চেয়ারম্যান- আরিফুর রহমান খান, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা, জাতীয় কৃষক পার্টির উপদেষ্টা মো. কামাল আহম্মেদ তালুকদার, কৃষক পার্টির সহ-সভাপতি মো. এনামুল হক বেলাল, কৃষক পার্টির দফতর সম্পাদক এড. ইমদাদুল হক প্রমুখ।