৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৬
শিরোনাম:

বিএনপি আন্দোলনের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা করলে দাঁত ভাঙা জবা দেয়া হবে : ওবায়দুল কাদের

শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে ঢাকা মহানগরের অন্তর্গত দলীয় এমপি এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বিজয়ী মেয়রদ্বয়ের সাথে এক মতবিনিময় সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বেগম জিয়াকে আন্দোলন করে মুক্ত করবে করুক।

তিনি আরো বলেন, তিনি কারাগারে আছেন দুর্নীতির মালায়। তাকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এখানে সরকারের কি করার আছে। তিনি রাজনৈতিকভাবে কারাগারে যাননি, তাই রাজনৈতিকভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আদালতের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেছে, যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমি ড. কামাল হোসেনের কাছে প্রশ্ন রাখছি, এটা কোন গণতন্ত্র। বরং সরকার সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। তাদের সমাবেশ করার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা করলে দাত ভাঙা জবাব দেয়া হবে। তবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশে কোনো বাধা দেয়া হবে না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি দুই প্রার্থীর পক্ষে যে জমায়েত ছিলো তারা কোথায়। তাদের কেন্দ্রে কোনো এজেন্ট ছিলো না। তারা ভোট দিলো না কেন। এবার যে নির্বাচন হয়েছে, তার চেয়ে শান্তিপূর্ণ হয় না। হেরে গিয়ে তাদের বিষোদগার বেড়ে গেছে। এটি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।

কাদের বলেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর -দক্ষিণ দুই ইলেক্টেড মেয়রদের নিয়ে বসেছিলাম। নির্বাচনে ভুল ত্রুটি সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে চুল চেড়া বিশ্লেষণ করেছি। এ বিষয়গুলো নিয়ে দলের আগামী কার্যনির্বাহী সভায় আলোচনা করবো। তবে এই নির্বাচনে কারচুপি বা জালিয়াতি করার কোনো সুযোগ ছিলো না। এমন কিছু হলে ভোটার উপস্থিতি এতো কম হতো না। কারচুপি না হওয়ার জন্যই ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে। দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তি পূর্ণ নির্বাচন হয়েছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।