৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:৪৬
শিরোনাম:

দুই উপনির্বাচন ও চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ বিষয়ে সিদ্ধান্তের সম্ভাবনা

১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন বগুড়া-১ এবং যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রশ্ন হচ্ছে বিএনপি এসব নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে সোমবার রাতে বৈঠকে বসছে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল সুখকর নয় দলটির জন্য। এই নির্বাচনের পর স্বাভাবিকভাবেই দলের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধিনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যৌক্তিতা নিয়ে। এই নিয়ে গত সপ্তাহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি নীতিনির্ধারকরা।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্ত তারা। দায়িত্বশীল নেতাদের একাংশ মনে করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকাণ্ডে মানুষ ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে নিরব প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এরফলে আওয়ামী লীগের সমর্থকরাও ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছে না। পাশাপাশি কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রিণ করায় সভাসমাবেশ করতে পারে না বিএনপি। অন্তত ভোটে অংশগ্রহণের ফলে নেতাকর্মীরা একত্রিত হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। ধানের শীষ ও বিএনপির কথা মানুষকে জানাতে পারছে।

অন্যদিকে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষের অংশটি মনে করে, এরমাধ্যমে বর্তমান সরকারকে বৈধতা দিয়ে ক্ষমতায় থাকার সময়  বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কিন্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকার কোনো নমনীয়তা দেখাচ্ছে না। দলের নেত্রীর মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত সব ধরণের নির্বাচন বয়কট করা উচিত।

এবার আলোচনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বিএনপিতে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। এ ছাড়া মহানগরের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে মীর হেলালের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। যদিও দুদকের মামলায় বাধা হতে মীল হেলালের। এরবাইরে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমের নাম শোনা যাচ্ছে।

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি।

আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এই নির্বাচনটি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) হবে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, ৫ আগস্টের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।