১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:৩১
শিরোনাম:

বক্তব্য বিকৃত হয়েছে, কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছি, বললেন পরিকল্পনামন্ত্রী

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির একনেক সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, গবেষণা করতে ভয় কেন? আমরা যে কোনো বিষয়ে গবেষণা করতে পারি। গবেষকদের পরামর্শ দিতে বলেছি নিউজ করতে বলিনি। বিষয়টি এভাবে আসবে ভাবিনি। আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। দেশের মানুষের কল্যাণে আমার গবেষকদের যে কোনো বিষয়কে গবেষণা করতে বলতে পারি।

পরিকল্পনামন্ত্রী একনেক সভাশেষে সাংবাদিকদের বলেন, কচুরিপানার বিষয়ে আমার কৃষি গবেষকদের বলেছি। কাউকে কচুরিপানা খাওয়ার জন্য আমি কখনও বলি নাই। আমি এই বাঙ্গালী এই বাঙ্গালার মানুষ। আমি কিভাবে কচুরিপানা খাওয়ার কথা বলি। তাহলে আমি কি কচুরিপানা খাই আপনারাই বলেন। আমি আমার গবেষকদের গবেষণা করতে বলেছি। গবেষণা তো কত কিছু নিয়েই করা যায়। আমি শুধু কচুরিপানা নয় কাঁঠাল ছোট করার বিষয়েও আমার গবেষকদের গবেষণা করতে বলেছি।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এখন কাঁঠালের আকার অনেক বড় হওয়ায় প্রায় ৪০ শতাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আপনারা কাঁঠালের আকারটা আরেকটু ছোট কীভাবে করা যায়, তা গবেষণা করতে পারেন। কাঁঠালের আকার সিভিলাইজড (সভ্য) করেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, মিডিয়ার অবাধ স্বাধীনতা আছে কিন্তু সেটা যেন সুদ্ধ চর্চা হয়। আমি আশা করি প্রিয় সাংবাদিকরা দয়া করে এই বিষয়টি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখেন। কারণ স্বাধীন সাংকাদিকতা মানে যা খুশি তা লিখে দেয়া নয়। সবাই যেন বিষয়টি বুঝে শুনি লিখি।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, দেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে’। কৃষিসহ অন্য ক্ষেত্রে গবেষণা আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছি। এর পর হাসতে হাসতে রশিকতা করে আমি গবেষকদের বললাম, আর কচুরিপানা কিছু করা যায় কিনা দেখেন। পাশ থেকে একজন গবেষখ বললেন, ‘কচুরিপানা গরু খায় স্যার।

তখন গবেষকদের কচুরিপানা নিয়ে গবেষণা করতে বলেছি, আমি আবারও বলছি কাউকে খাওয়ার জন্য বলিনি।

সংবাদ সম্মেলনে নিউজ ভুলভাবে উপস্থাপন করার জন্য সাংবাদিকেরা দুঃখ প্রকাশ করেন।