১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৪২
শিরোনাম:

মানিলন্ডারিং মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদসহ ছয় আসামির বিরুদ্ধে আদালতে সিআইডির চার্জশিট দাখিল

অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, সংঘবদ্ধভাবে চাঁদা ও টেন্ডারবাজি এবং ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে অর্জিত অবৈধ আয়ের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রোববার আদালতে চার্জশিট দাখিল করে মামলার তদন্ত সংস্থাটি। অভিযুক্তরা হলেন- খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, মাসুদ মাহমুদ ভূঁইয়া, হাসান মাহমুদ ভূঁইয়া, হারুন রশিদ, শাহাদৎ হোসেন উজ্জ্বল ও মোহাম্মদ উল্ল্যাহ খান।

তদন্তকালে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ভ্রমণ বৃত্তান্ত ও পাসপোর্ট পর্যালোচনায় সিআইডির কর্মকর্তারা দেখতে পান, খালেদ পাসপোর্টে কোনো বিদেশি মুদ্রা এন্ডোর্সমেন্ট করা ছাড়াই বহুবার বিদেশে যাতায়াত করেছেন। তিনি বিদেশে যাবার সময় নগদ বিদেশি মুদ্রা পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতেন। সিঙ্গাপুরে খালেদের একটি কোম্পানি আছে। যার মূলধনও বেআইনিভাবে হুন্ডির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে পাচার করা হয়েছে। এছাড়া তার নামে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি অ্যাকাউন্টে ২০ লাখ টাকার সমপরিমাণ থাই বাথ জমা থাকার তথ্য জানতে পেরেছে সিআইডি। খালেদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে অবৈধ মাদক-অস্ত্র, টেন্ডার, ও চাঁদাবাজিসহ অবৈধ আয় জ্ঞাতসারে স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রুপান্তরের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি মুদ্রায় অবৈধভাবে বিদেশে পাচার ও পাচারের চেষ্টায় জমা রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

সিআইডি আরও জানতে পারে, মোহাম্মদ উল্লাহ ২০১২ সাল থেকে খালেদের মালিকানাধীন ভূঁইয়া এন্ড ভূঁইয়া ডেভেলপার লি., মেসার্স অর্পন প্রোপার্টিজ ও অর্ক বিল্ডার্স নামে তিনটি ফার্মের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। খালেদের নির্দেশে তার অবৈধ আয় খালেদের ভাই মাসুদ মাহমুদের সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা দিতেন । মোহাম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে খালেদের অবৈধ আয়, ব্যাংকে জমা এবং পাচারের জন্য অবৈধভাবে বিদেশি মুদ্রা কেনার মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ে সহায়তার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। তদন্তকালে অপর অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজসে খালেদের সকল অপরাধমূলক কাজের প্রত্যক্ষ সহযোগী বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, খালেদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অভিযোগ আরও অনুসন্ধান চলছে। অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা রাখায় তার বিরুদ্ধে ফরেন একচেঞ্জ রেগুলেশনস আইনে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।