১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১১:১৯
শিরোনাম:

পাপিয়ার মানিলন্ডারিংয়ের বিষয়ে তদন্তে নেমেছে সিআইডি, জব্দ হচ্ছে ব্যাংক এ্যাকাউন্ট

রিমান্ডে একের পর এক নারী কেলেঙ্কারীর চকমপ্রদ তথ্য দিচ্ছেন পাপিয়া। জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচারের কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া তার কানেকশনে বিদেশ থেকে যেসব তরুণীরা আসা-যাওয়া করতেন এবং দেশ থেকে কারা বাইরে যেতেন তাদের নামের একটি তালিকা করছেন গোয়েন্দারা।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইমের ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, পাপিয়ার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। আরো কিছু তথ্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে আসবে। তার অবৈধ কর্মকান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। তথ্য-প্রমাণ পাওয়ার পরই পাপিয়া ও তার স্বামী মতি ওরফে সুমন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা হবে। এজন্য শিগগিরই তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।

গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া স্বীকার করেছেন, নারী ব্যবসার আড়ালে মুদ্রাপাচার ছিল তার অন্যতম বাণিজ্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কিছু অ্যাকাউন্টে এসব অর্থ রয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে নারীদের বাংলাদেশে এনে অনৈতিক ব্যবসা পরিচালনা করতেন পাপিয়া। গ্রাহকদের প্রয়োজনে বিদেশেও পাঠানো হতো সুন্দরী নারী।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পাপিয়ার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য জানতে ইতোমধ্যেই দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্য তথ্য পাওয়া যাবে। এরপর মানিলন্ডারিংয়ে যদি পাপিয়ার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হয় তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।