১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:০৫
শিরোনাম:

যারা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতে যুক্ত হতে পারেনি তাদের জন্য কাজ করছে সরকার, বললেন অর্থমন্ত্রী

বুধবার শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সোনালী ব্যাংকের ‘বার্ষিক সম্মেলন ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে নিতে যাবার ব্যবস্থা করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু তিনি শেষ করে যেতে পারেননি। এখন তার কন্যার নেতৃত্ব দেশকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, সোনালী ব্যাংকের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। খেলাপি ঋণ কমে এসেছে, মূলধন স্বল্পতাও কমে এসেছে। অন্যান্য সূচকও আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জন করেছি। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিল্পখাতে ঋণ দেওয়া তাগিদ দেয়া হচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশে যেতে হলে ম্যানুফাকচারিং খাতে ঋণ সরবরাহের গতি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, হলমার্কের ঘটনার পর ঋণ দেওয়ার বিষয়ে অনেক ভীতি কাজ করছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই ভয়ভীতি দূর করে ঋণ সরবরাহ করতে হবে। তা না হলে উৎপাদন খাতের শিল্পগুলোতে ঠিকমোত ঋণের যোগান দিতে না পারলে কর্মসংস্থান তৈরি হবে না।

গভর্নর বলেন, ২০১৮ সালে যেখানে ৫০ শতাংশের ওপরে খেলাপী ছিলো সেখানে ২০১৯ সালে কমে এর পরিমান দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এছড়া রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ আদায়ের গতি বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, চ্যালেঞ্জের মধ্যে টিকে থাকতে হবে, নিজেকে সুসংহত রাখতে হবে। পৃথিবীর বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শিক্ষা নিতে হবে। আপনারা অনেক সার্ভিস দিচ্ছেন তার বিপরীতে চার্জ নিচ্ছেন তা একেবারে অস্বাভাবিক কোন ঘটনা নয়। সরকার সক্রিয় বিবেচনা আছে যে কতোটুকু বরাদ্দ দেয়া যায় তা আপনাদের সেবার বিপরীতে কোন টাকা দেয়া যায় কিনা।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সোনালী ব্যাংক সেবার মান সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে শীর্ষ অবস্থান অর্জন করবে। এতে খেলাপি ঋণ কমে আসবে। ঋণ ও আমানতের সুদ হার সিংগেল ডিজিটে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব হয়েছ।