১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:০৫
শিরোনাম:

বিমান বন্দরে টাকার বিনিময়ে করোনাভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা, অভিযোগ রিজভীর

 বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে আতংকজনক পরিস্থিতিতে সরকার চরম উদাসীনতা ও খামখেয়ালীপনা প্রদর্শন করছে। নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য ও সেবা পেতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৩টি হটলাইন ফোন নম্বর চালু করেছে। তবে এই নম্বরগুলোতে ফোন করে কাউকে পাওয়া য়ায় না। রিং হতে থাকলেও কেউ রিসিভ করে না।

রহুল কবির রিজভী বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সন্দেহ, লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিলে সরাসরি জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। বরং বাড়িতে থেকে হটলাইন নম্বরে ফোন করলে তারাই বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করবে বলে জানানো হয়েছে। বাস্তবে এটা ভাঁওতাবাজীতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, বিনা ভোটের মিডনাইট সরকারের এই ভয়ংকর উদাসীনতার ফলে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়লে দেশে এক মহাবিপর্যয় দেখা দিবে-তা হবে করুণতম ও মর্মস্পর্শী। এ ব্যাপারে সরকারের ব্যর্থতাকে জনগণ কখনো ক্ষমা করবে না

বুধবার নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলেনে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, তাদের সমস্ত মনোযোগ ও ব্যস্ততা মুজিব বর্ষ পালন নিয়ে। দেশের সীমান্ত ও স্থল বন্দর অরক্ষিত, বিমান বন্দরগুলোতে স্ক্যানার মেশিন নেই। যা দু একটি ছিল তাও আবার গতকাল নষ্ট হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় কোন কার্যকর প্রস্তুতিই নেই। ১৩টি হটলাইন আর কয়েকটি হাসপাতালে জোড়াতালির প্রস্তুতি চলছে।

রিজভী অভিযোগ করেন, দেশের অধিকাংশ সরকারী হাসপাতালে আইসিইউ বেড নেই। ভেন্টিলেটর মেশিনও নেই। চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা বা সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় মেডিক্যাল মাস্ক ও ইউনিফর্ম নেই। ভাইরাস প্রতিরোধী পোশাকের (পিপিই) নেই। করোনা ভাইরাস নিয়ে দেশে প্রবেশ করলে সনাক্তের কোন যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যে কারণে বিমানবন্দরে ইতালী থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে যারা দেশে এসেছেন তাঁদের রোগ শনাক্ত হয়নি। দেশে ফেরার চার দিন পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁরা নিজেরাই চিকিৎসকের কাছে গেলে সরকার তাঁদের হাসপাতালে স্থানান্তর করেছে। কিন্তু ইতোমধ্যে তাঁদের একজনের স্ত্রী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ।