১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ১০:২৭
শিরোনাম:

মিরসরাইয়ে মসজিদে ঢুকে মুসল্লিকে জুতাপেটা করলেন মহিলা লীগ নেত্রী

মিরসরাইয়ে নুরচ্ছাবাহ পূর্নিমা নামে এক যুব মহিলা লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে মসজিদে প্রবেশ করে মুসল্লিকে জুতা দিয়ে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ৫ নম্বর ওচমানপুর ইউনিয়নের বাঁশখালী এলাকার মাজহার উল্লাহ মুহুরী বাড়ি জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।আমেরিকা প্রবাসী নুরচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক।

ভুক্তভোগী মুসল্লি এস এম শহীদ জানান, ‘শনিবার জোহরের নামাজের জন্য আমি মসজিদে প্রবেশ করার পথে পূর্ণিমা নামের এই মহিলা দাঁড়িয়ে থাকেন। আমি তাকে নামাজের জামাত শুরু হচ্ছে বলে সরে দাঁড়াতে বলে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করার সময় সে মসজিদের সামনে থাকা জুতা নিয়ে আমাকে মারলে জুতা মসজিদের ভেতরে ঢুকে যায়। এরপর সে ভেতরে ঢুকে জুতা দিয়ে আমাকে মারধর করেন। তখন সকল মুসল্লি এগিয়ে তাকে নিবৃত করেন। কি কারণে আমাকে জুতা দিয়ে মারলো? আমার অপরাধ কি?’

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও নিয়মিত মুসল্লি মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমার জীবনে দেখিনি। মহিলা মসজিদে ঢুকে শহীদ নামে এক মুসল্লিকে জুতা দিয়ে মারধর করে। এরপর আমরা এসে তাকে বাধা দিই।’

এলাকাবাসীরা বলেন, ‘নুরচ্ছাবাহ্ পূর্ণিমার সাথে তার চাচা আবু ছালেকের জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ওইদিন বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণ নিয়ে চাচার সাথে ঝামেলা হয়। তার চাচা জোহরের নামাজ আদায় করতে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে।’

নুরচ্ছাবাহ্ পূর্নিমা বলেন, ‘আমি মসজিদে প্রবেশ করে জুতা দিয়ে কাউকে মারধর করিনি। বরং শহীদ নামে ওই ছেলেটি আমাকে ধাক্কা দেয়। মুসল্লিরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।’

এই বিষয়ে জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘শনিবার সকালে পূর্ণিমা নামে এক মহিলা তার বাবার বাড়িতে বহিরাগত কিছু লোক জড়ো হয়েছে বলে আমাকে ফোন দেয়। আমি পুলিশের একটি টিম ওই বাড়িতে পাঠাই। পরে উভয় পক্ষের লোকজনকে থানায় ডেকে পাঠাই এবং বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে বলে জানতে পারি। তাই উভয়পক্ষকে কোন ঝামেলায় না জড়াতে পরামর্শ দিয়েছি। কোন মুসল্লিকে জুতা দিয়ে পেটানোর বিষয়টি আমার জানা নেই।’