৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৮:৫৪
শিরোনাম:

বাবা, মা বেঁচে থাকলে দেখা হবে, এ মনোবল ধরে রেখে ডা. গুলশানা করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছেন নিরন্তর

ডাক্তার গুলশানা টগর, যিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে কর্মরত আছেন । তার একটি ছবি যেখানে মাস্ক পরিহিত, ক্লান্ত ,গালে দাগ পড়ে যাওয়া করোনার বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া এক সৈনিক ডাক্তারকে দেখা যায় । ছবিটি সোস্যাল মিডিয়াতে খুব আলোড়ন সৃষ্টি করে । অনেকেই ছবিটি শেয়ার করে সেখানে লেখেন যে শুধু চায়নার ডক্টররা নয় ,আমাদের দেশের চিকিৎসকযোদ্ধারাও যুদ্ধ করে যাচ্ছেন ।

সেই ভাইরাল ছবিটির ব্যাপারে ডাক্তার গুলাশানা টগর বিবিসি নিউজকে বলেন, একটানা ১২ ঘন্টা করোনা ইউনিটে ডিউটি করার পর যখন তিনি মাস্ক খোলেন , তখন তার মুখে দাগ পড়ে গিয়েছিল । তাছাড়া দিনটি ছিল গরমের । এই ১২ ঘন্টা তাকে একটানা পিপিই ও মাস্ক পড়ে থাকতে হয়েছে ।

এরপর এই অবস্থার একটা ছবি তুলে তিনি তারহাসবেন্ডকে পাঠান । এই ছবি তার হাসবেন্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিলে তা মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় । ডাক্তার টগর বলেন যে , এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই আমার প্রশংসা করেছেন । আমাকে দোয়া করেছেন । আসলেই এটা অনেক বড় প্রাপ্তি ।

তিনি আরো বলেন যে , ভয় তো আছেই , ভয় নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব বোধ থেকেই কাজটি করতে হচ্ছে । প্রতিদিন মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন , কেউই এই ভয়ের ঊর্ধে না , আমরাও এই ভয়ের ঊর্ধে না । প্রতিদিন প্রায় ১২ থেকে ১৪ ঘন্টা শিফট ডিউটি থাকে । তার পরিবারও তাকে নিয়ে চিন্তিত । তার বাবা মাও অসুস্থ । যদিও তাদের বাড়ি কাছে কিন্তু প্রায় দেড় মাস ধরে তিনি তার বাবা ও মা’কে দেখতে যেতে পারছেন না ।

ডাক্তার গুলশানা টগর বলেন , যদি বেঁচে থাকি ,সুস্থ থাকি,যদি বাবা মা বেঁচে থাকেন তবে হয়তো দেখা হবে । টেনশন থাকি সারাক্ষণই কিন্তু তবুও আমরা আমাদের মনোবল ধরে রাখি। ডাক্তার গুলশানা টগরের মতন এমনি অনেক ডাত্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী আমাদের জন্যে তাদের পরিবারকে ছেড়ে আছেন । আসুন সবাইকে এক না ভাবি । যারা আমাদের প্রত্যক্ষ সৈনিক তাদেরকে দূর থেকে দোয়া , শুভেচ্ছা আর সাহস ,ভালোবাসা দিয়ে তাদের মনোবল বাড়াই । সম্পাদনা : রাশিদ