৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:০১
শিরোনাম:

৩০ সাল নাগাদ বিশ্বজুড়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১৪৭ মিলিয়ন মানুষ, সবচেয়ে ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বৈশ্বিক গবেষণাকারী সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউট গবেষণা করে এই তথ্য বের করেছে। গত ১০ বছর আগেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তের এই সংখ্যা ছিলো ৭২ মিলিয়ন। দ্য গার্ডিয়ান

প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে এই বন্যা পরিস্থিতি ভয়ানক হবে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ও চীন। ২০৩০ সালে নদী তীরবর্তী বন্যায় বিশ্বের ৪৪ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত ও উপকূলীয় বন্যায় ৫৫ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত জনসংখ্যার পেছনে দায়ী থাকবে এই তিন দেশ।

গবেষকদল জানান, নদী তীরবর্তী ও উপকূরবর্তী এই বন্যায় শহুরাঞ্চলের সম্পত্তির বাৎসরিক ক্ষতির পরিমাণ ১৭৪ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৭১২ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। ২০৫০ সাল নাগাদ এই হার আরো দ্বিগুণ বিপর্যয় ধারণ করবে। ঝুঁকিতে পড়বে ২২১ মিলিয়ন মানুষ, প্রতি বছর শহরগুলোকে গুণতে হবে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার। প্রসঙ্গত, ১৯৮০ সাল থেকে এই পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলার।

সংস্থাটির পানি বিষয়ক নির্বাহী শার্লি আইসল্যান্ড বলেন, ২০১৪ সালে আমরা যখন প্রথমবার বন্যার একটি মডেল টুল দেখাই, এটি সম্পূর্ণ অবাস্তব মনে হয়েছিলো। কিন্তু এখন আমরা বাস্তবেই দেখছি যে বিশ্বের নানা স্থানে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধরণের বন্যা আমরা আগে আর কখনোই দেখি নি। জলবায়ু পরিবর্তন, মানবসৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণতা, নদী দূষণ ও নদী থেকে বালি উত্তেলনসহ বিভিন্ন কারণে বন্যা পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে ও হ্যারিকেনগুলো শক্তিশালী হচ্ছে।