১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ১:৪৩
শিরোনাম:

২০০০ চিকিৎসক, ৬০০০ নার্স নিয়োগ দেবে সরকার, ভিআইপিদের জন্যে কোনো আলাদা হাসপাতাল হচ্ছে না জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার দুপুরে করেনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, যেহেতু আমরা নতুন নতুন হাসপাতালে কোভিড -১৯ রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য তৈরি করছি, তাই নতুন চিকিৎসক ও নার্স প্রয়োজন। জরুরিভাবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এসব চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগের পর স্বাস্থ্যসেবা আগামীতে আরও জোরদার হবে।

তিনি করোনা রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে যেসব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের জন্য দুঃখ প্রকাশ ও সুস্থতা কামনা করে বলেন, তারাই কোভিডের জন্য যুদ্ধ করছে।

ভিআইপিদের জন্য আলাদা হাসপাতাল তৈরির খবরটি ঠিক নয় উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকার এরকম কোনো ধরণের ব্যবস্থা করেনি। সবার জন্য একই হাসপাতালে একই ধরনের চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরণের বিবৃতি না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, এ কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। যা সরকারি নীতি বহির্ভূত।

মন্ত্রী এও বলেন. কোনো হাসপাতালই লকডাউন করা হয়নি এবং হবেও না। অন্য হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা বজায় আছে এবং থাকবে। আমাদের সব হাসপাতালে যেসব ওষুধ সরকার দিয়ে থাকে, এসব হাসপাতলে সরবরাহ এখনো অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জায়গায় নকল পিপিই ও মাস্ক ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিক্রয়কারী ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৭ জনে। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। মোট শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৬ জন। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।

জাহিদ মালেক জানান, ভারত-সিঙ্গাপুর থেকে যারা আগামীতে দেশে আসবেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনছে সরকার। তবে আগামীতে যাদের ফিরিয়ে আনা হবে তারা সরাসরি পরিবারের কাছে যেতে পারবে না। এ সময় মন্ত্রী জানান, ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় তিন শতাধিক বাংলাদেশি মারা গেছেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তাÐব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের প্রায় সাড়ে ২৬ লাখ। এক লাখ ৮৪ হাজার ছাড়িয়েছে মৃতের সংখ্যা। তবে সাত লাখ ২২ হাজার রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।