১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৮:১১
শিরোনাম:

রাজধানীতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির নকল এন-৯৫ মাস্কের সন্ধান, ২ জনকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা

বৃহস্পতিবার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ১৪/এ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাড়ি ও উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর সড়কের ৫/এ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

[৩] ওষুধ প্রশাসনের সহযোগীতায় র‌্যাব-১ পরিচালিত আদালতের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। জাহানারা এন্টার প্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চালানো হয়। রাজধানীর নিকুঞ্জ এলাকায় এস এফ এক্সপ্রেস নামক একটি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি এগুলো আমদানি করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। করোনার কারণে নিকুঞ্জ লকডাউনে থাকায় উত্তরায় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছিল।

[৪] ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, চীন থেকে নকল এন-৯৫ মাস্ক আমদানি করে বিক্রি করার তথ্যে অভিযানটি চালানো হয়। মাস্কগুলো আসল এন-৯৫ নয়। মাস্কগুলোতে কেএন-৯৫ লেখা রয়েছে। এগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে তৈরি করা হয়নি। এছাড়া বেশি মূলেও এগুলো বিক্রি করা হচ্ছিল। প্রতি পিস মাস্ক সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। অভিযানকালে দুটি গোদাম থেকে অন্তত পাঁচ থেকে সাত ধরনের নকল এন-৯৫ মাস্ক পাওয়া গেছে। অথচ বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকদের জন্য প্রস্তুতকৃত এ মাস্কের ধরণ এক ও অভিন্ন হওয়ার কথা। অভিযানকালে মাসুদ শেখ ও শফিউল বাশার সুজন নামের দুজনকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বাজারে সংকট তৈরি হবে ভেবে মাস্কগুলো জব্দ না করে কিছু নমুনা রাখা হয়েছে।

[৫] ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তনের সহকারী পরিচালক মো. হারুন উর রশিদ বলেন, মাস্কগুলোর মান মোটামোটি ভাল। সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারলেও তা চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতালে কর্মরত স্টাফদের জন্য ব্যবহারের উপযোগী নয়, ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া মাস্কগুলো ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া আমদানি করা হয়েছ।

[৬] তিনি বলেন, অভিযানকালে পতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে আমরা বলেছি যে, ভবিষ্যতে অনুমোদন ছাড়া মাস্ক আমদানি করা যাবে না।