৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৩১
শিরোনাম:

চট্টগ্রামে খুলে দেয়া হলো ১১০ পোশাক কারখানা

রবিবার সকাল থেকে এসব কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই কারখানা পরিচালনা করবেন তারা। ডিবিসি ও যমুনা টিভি

চট্টগ্রাম ইপিজেডের জিএম খুরশিদ আলম জানান, পুরোদমে কারখানা কখন থেকে চালু হবে, সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আর চলমান লকডাউনের মধ্যে কারখানা চালু হলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা ওই এলাকার বাসিন্দাদের। চট্টগ্রাম ও কর্ণফুলী ইপিজেড এবং কোরিয়ান ইপিজেডে দেশি-বিদেশি ২০০’র বেশি কারখানায় প্রায় ২ লাখ ৭৬ হাজার শ্রমিক কাজ করে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ থেকে ৫ দফায় আগামী ৫ মে পর্যন্ত সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটি ঘোষণার প্রথম দিন থেকে দেশের গার্মেন্টগুলোও বন্ধ ছিল। এদিকে আনোয়ারা উপজেলায় অবস্থিত দেশের প্রথম বেসরকারি রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কোরিয়ান ইপিজেডে সব কারখানাও খুলছে। এই ইপিজেডে কাজ করে ২৫ হাজার শ্রমিক।

বিজিএমইএ এর সহ-সভাপতি এ এম চৌধুরী সেলিম বলেন, শিপমেন্ট, ফিনিশিংয়ে আটকে আছে, অর্ডারের চাপ আছে এমন কারখানাগুলোকেই সীমিত আকারে খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে এজন্য অবশ্যই সুরক্ষা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। কারখানা যেখানে অবস্থিত সেখানকার আশেপাশে যে শ্রমিকরা আছে তাদের নিয়েই কাজ করতে হবে। বহদ্দার হাট থেকে শ্রমিক গিয়ে ইপিজেডে কাজ করতে পারবে না। এ জন্য আমরা একটা মনিটরিং কমিটি করে দিয়েছি। যারা কারকানা ঘুরে ঘুরে সুরক্ষা এবং দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক এসেছে কিনা সেটা মনিটরিং করবে। কালেরকন্ঠ

বিদেশী ক্রেতাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগে যে বায়ারদের সাথে কথাই বলা যেতো না এখন তারা কথা বলতে শুরু করেছেন। অর্ডার বাতিল করা অনেক বায়ার এখন পণ্য নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করছেন। এটা ভাল লক্ষণ। আমাদের প্রতিযোগী দেশ চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়াতে কারখানাগুলো উৎপাদন শুরু করেছে। ক্রেতা ধরে রাখতে হলে আমাদেরও বিকল্প ব্যবস্থা করা ছাড়া উপায় নেই।